ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কণক রবিদাসকে গ্রেফতার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ

ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কণক রবিদাসকে গ্রেফতার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা ,মালদা, ৬ ই ডিসেম্বর : ৬ দিনের মাথায় ৩ বছর বয়সি শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কনক রবিদাস কে গ্রেপ্তার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নিগৃহীতার অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝাড়খন্ড-বাংলা সীমান্তবর্তী মানিকচক এলাকা থেকে কনক রবি দাসকে গ্রেপ্তার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত কে চাচোল মহকুমা আদালতে তোলা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

উল্লেখ্য তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে প্রতিবেশী যুবক কনক রবিদাসের বিরুদ্ধে।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবারের সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজার এলাকা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখায়।পরে অভিযুক্তের বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।তবে অভিযুক্ত কণক রবিদাস পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে কাথা সেলাইয়ের জন্য কণককে ডেকেছিলেন শিশুটির মা। তার বাবা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। সকালে মেয়েকে রেখে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কণকও পলাতক। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কনক রবিদাস কখনো জুতো সেলাই করে, কখনো আইসক্রিম বিক্রি করে, আবার কখনো কাঁথা সেলাই করে, কখনো আবার ব্যান্ড বাজায়। এর আগেও এলাকায় একাধিক দুষ্কর্মের ঘটনায় তার নাম উঠে এসেছে | শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তবর্তী মানিকচক এলাকা থেকে ছয় দিন পর গ্রেফতার করা হয় কনক রবিদাসকে।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান,ওই ব্যক্তির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির অভিভাবক। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝাড়খন্ড বাংলা সীমান্তবর্তী মানিকচক এলাকা থেকে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে চাচল মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top