ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাইবাবুকে কোপাল দুই শ্যালক!

ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাইবাবুকে কোপাল দুই শ্যালক!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

হুগলী – ঈদের দিন পাণ্ডুরায় মগরায় ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা! বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাইবাবুকে খুন করল দুই শ্যালক। মৃতের নাম বিট্টু, বয়স ২৬ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ হুগলির মগরা থানার অন্তর্গত সপ্তগ্রাম পঞ্চায়েতের চুরি মহল্লা এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে উল্লেখিত পাড়ায়।

গতকাল ঈদের আনন্দ নিমেষেই বিষাদে পরিণত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে স্ত্রী সোনালী মণ্ডল ও মা চন্দা বিবির সঙ্গে ঘরেই ছিলেন বিট্টু। তিনি পেশায় জোগালু খাটেন রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে। গতকাল ছিল ঈদ, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব। সুতরাং বিট্টুদের পরিবারে ছিল খুশির রব।গোটা পাড়া আলোয় আলোয় সেজে উঠেছিল। ঈদের জন্যে বাড়িতেই ছিলে বিট্টু,পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। কিন্তু রাত হতেই বিট্টু র বাড়িতে হানা দেন তাঁর দুই শ্যালক রোহিত ও গুড্ডু মণ্ডল। পাশেই ছিল বিট্টুর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকেই হন্তদন্ত হয়ে বিট্টুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁরা। ঘরে ঢুকেই কোনও কথা না বলেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিট্টুকে কোপ দিয়ে বসে তাঁর দুই শ্যালক। তাঁর ঘাড়ে এবং কোমরে এলোপাথাড়ি ছুরি ঢুকিয়ে দেয় বিট্টু। তখনই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিট্টু। আর তা দেখেই রোহিত ও গুড্ডু চম্পট দেয়। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিট্টু বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এবং দাদা, মা সবাই কে বাইরে ছিলেন। পাড়ায় ঈদের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন। সেই সুযোগেই বিট্টুকে এলোপাথাড়ি কোপ মেরে পালায় অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয়রা বিট্টুকে ধরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, এবং চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এখন বিট্টুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে বিট্টু গাজা খেয়ে ছিল। তাই নেশাকাতুর অবস্থায় শ্যালকদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকতো বিট্টু এবং তাঁর শ্যালকদের মধ্যে। তাই পুলিশের অনুমান, রাগের বশেই জামাইবাবুকে খুন করেছেন রোহিত ও গুড্ডুরা। এই মূহুর্তে তাঁদের আটক করে তাঁদের জেরা করছে পুলিশ। এবং কী কারণে জামাইবাবুকে খুন করেছে, তা জানার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের কর্তারা উপস্থিত হয়ে তদন্ত করছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top