ধুঁকছে বানারহাটের গয়েরকাটা শ্মশান। পরিষেবার অভাবে ধুঁকছে বানারহাটের গয়েরকাটা শ্মশান। এই শ্মশানের ওপর শুধু গয়েরকাটাই নয়, নির্ভরশীল বানারহাট সহ পাশের জেলা বীরপাড়া ও এথেলবাড়ির বাসিন্দারাও। শ্মশানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শ্মশানের চারিদিকে প্রাচীর নির্মাণ সহ শ্মশানের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে। ২০১৯ সালে স্থানীয় সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেই শ্মশানের উন্নয়ন কল্পে কাজ হয়।
তবে এখনও বেশ কিছু অব্যবস্থার জেরে এই শ্মশান নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে জনমানসে। গয়েরকাটা শ্মশানঘাট চত্বরে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মোটর চুরি হয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানে নেই জলের ব্যবস্থা। ভেঙে যেতে বসেছে শ্মশানের প্রাচীর। নোংরা –আবর্জনায় ছেয়ে রয়েছে শ্মশানঘাট চত্বর। ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে শ্মশানঘাট চত্বরে শৌচালয় নির্মাণের কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। শ্মশানের দায়িত্বে নেই কোন ব্যক্তি, নেই মৃত ব্যক্তির নাম নতিভুক্তকরনের কোন ব্যবস্থা। ফলে যে কোন সময় বড় অপরাধ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। গুরুত্বপূর্ণ এই শ্মশানঘাটের গুরুত্ব উপলব্ধি করে গয়েরকাটা শ্মশানের উন্নতিকরন ও বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘ যতদিন পর্যন্ত শ্মশানঘাট এর দেখাশোনা করার জন্য লোক না নিয়োগ করা হবে ততদিন এই অব্যবস্থার সমাধান হবে না। শ্মশানের পরিকাঠামো উন্নয়ন সহ শ্মশানের কাজ গুলি দেখাশোনা করার জন্য কর্মী নিয়োগ করা অবশ্য প্রয়োজন। ’
গয়েরকাটা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ ও পঙ্কজ দত্ত বলেন, ‘গয়েরকাটা শ্মশানের ওপর গয়েরকাটা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু এই শ্মশানঘাটে যেমন সঠিক পরিকাঠামো নেই ঠিক তেমনি দেখাশোনার অভাবে শ্মশানচত্ত্বর নোংরা আবর্জনায় ছেয়ে থাকে। এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী এই শ্মশানঘাটের উন্নয়ন সহ এখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। ’
সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও জানান, ‘ গয়েরকাটা শ্মশানঘাট উন্নয়নে আমরা আগে কাজ করেছি। শৌচালয় নির্মাণ নিয়ে আমরা ঠিকাদার এর কাছে জবাবদিহি চেয়েছি। অন্যান্য বিষয় গুলি খতিয়ে দেখা হবে। ’
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য বলেন, ‘ গয়েরকাটা শ্মশানঘাটের ব্যাপারে আমি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। ’
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ জানান, ‘ এলাকাবাসীদের লিখিত ভাবে তাদের সমস্যা গুলি জেলা পরিষদ অফিসে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এরপর সমস্যার সমাধানে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হবে। ’