ধুলিয়ানে নির্যাতিত পরিবারের পাশে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব। বাড়ি ও জমিজটে নির্যাতিত রুস্তুম আলী বিশ্বাস ও ইউনুস আলীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল ধূলিয়ানের স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব।সোমবার দুপুরে তাদের পক্ষ থেকে বাড়ি পরিদর্শন করার পাশাপাশি কথা বলা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।সামসেরগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গেও কথা বলেন ওই প্রতিনিধি দল।
উপস্থিত ছিলেন ধূলিয়ান টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহবুব আলম, যুব সভাপতি সামিম আক্তার মির্জা, ধূলিয়ান পৌরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম, উপ পৌরপিতা সুমিত সাহা সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।ঐতিহ্যবাহী ধূলিয়ান শহরে কোনোরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ধূলিয়ান পৌরসভা ও টাউন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। উল্লেখ্য,সম্প্রতি বন্টননামা হওয়ার আগেই অবৈধভাবে বাড়ি ও জমি বিক্রির অভিযোগ উঠে ওয়াহিদ আক্তার রনি নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই জমি কিনে নেন তৃণমূলের সামসেরগঞ্জের জেলা পরিষদ সদস্য তথা মুর্শিদাবাদের জনস্বাস্থ কর্মাধক্ষ আনারুল হক বিপ্লবের বাবা রফিকুল ইসলাম। আর যা ঘিরেই বিতর্ক ছড়ায়।
বাড়ি ছাড়ার জন্য লাগাতার চাপ ও নির্যাতন করার অভিযোগ তুলে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন সিজি প্যাটেল কোম্পানি মোড়ে অবস্থিত নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ছাড়তে না চাওয়ায় রাতের অন্ধকারে জোর করে অবৈধভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ বিচ্চিন্ন ও মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মুকুট জিতে রেকর্ড গড়েছেন জকোভিচ
পুলিশের কাছে নিরাপত্তা ও সমাধান চাইলেও কোনোরকম সহযোগিতা করেননি বলে দাবি করে ওসি এবং পুলিশের বিরুদ্ধেও এসপির কাছে অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। যদিও নির্যাতিত পরিবারের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তাদের দোষারোপ করেন জমির ক্রেতা রফিকুল ইসলাম। সোমবার রুস্তম বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষ থেকে পৌরসভার দ্বারস্থ হতেই এবার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নির্যাতিত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিলো পৌরসভা এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।