ধূপগুড়ির কালীপুজোয় যান নিয়ন্ত্রণ হলেও গরুর অবাধ বিচরণে যানজটের সম্ভাবনা। কালীপুজোর চার দিন ধূপগুড়ি শহরের যানজট মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে ধুপগুড়ি পুলিশ প্রশাসন। শহরে বিগ বাজেটের পুজো করে থাকে কয়েকটি নামকরা ক্লাব। সেই আকর্ষণে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন ভিড় জমান ধুপগুড়িতে। যানজটের সম্ভাবনাও থাকে প্রবল।
এই কারণে ধুপগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে শহরে প্রবেশ করার পথে নো এন্ট্রি গেট লাগানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। কলেজ পাড়া ,থানা রোড,নেতাজি পাড়া রোডে নো এন্ট্রি গেট লাগানো হবে। থাকবে ড্রপার গেট। তাছাড়া অন্যান্য কয়েকটি রোডেও নো এন্ট্রি গেট থাকবে বলে জানা গেছে। সন্ধ্যে ৬ টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাস্তা। সব ধরনের গাড়ি এবং টোটোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন – দিলীপ বাবুর কাছে যেটি হাতি তৃণমূলের কাছে সেটি মশাঃ কুনাল
তবে গাড়ি বন্ধ থাকলেও রাজ্য সড়কের উপর এমনকি শহরের মাঝ রাস্তায় অবাধ গরুর বিচরণ, ট্রাফিক আইনকে ভঙ্গ করবে। দীর্ঘদিন আগে ধুপগুড়ি পৌর এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল গরুর অবাধ বিচরণকে। তবে একশ্রেণীর মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গরু ছেড়ে দিচ্ছে। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে খাদ্য গ্রহণ করার পর সন্ধ্যে হলেই মাঝ রাস্তায় শুয়েপড়ে গরু। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনকি ধুপগুড়ি শহরের বুকে গাড়ির ধাক্কায় একাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে।
আহত হয়েছে প্রচুর। কোন গরু আহত হলেও মালিকের খোঁজ পাওয়া যায় না। ধুপগুড়ির পশুপ্রমি সংগঠন ইউ ক্যান এবং অ্যানিমেল লাভার পশুদের দেখভাল করে।কিন্তু তারপরও গরুর অবাধ বিচরণ থামছে না। মূলত এসটিএস ক্লাব এবং মায়ের থানের সামনের রাস্তায় প্রচুর গরু আস্তানা গেড়ে থাকে। এবার পুজোর সময় ব্যাপক ভিড়ে গরু থাকার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ একাধিকবার মাইকের আওয়াজে গরুরা দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। সেই মুহূর্তে কারো আঘাত লাগার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তবে এখন দেখার বিষয় পুলিশ প্রশাসন এবং পৌরসভা কিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করে? ধূপগুড়ির কালীপুজোয়