ধূপগুড়ির সভাকে মিনি বিগ্রেড করার প্রয়াস তৃণমূল কর্মীদের

ধূপগুড়ির সভাকে মিনি বিগ্রেড করার প্রয়াস তৃণমূল কর্মীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ধূপগুড়ির সভাকে মিনি বিগ্রেড করার প্রয়াস তৃণমূল কর্মীদের। ঘোষণামতোই দুটি পৃথক কর্মসূচিতে সোমবার উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা, দলের সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ৪দিনের পাহাড় সফরে অন্যদিকে আগামী ২১জুলাই শহীদ দিবসের আহ্বানের জন্য ধুপগুড়িতে মঙ্গলবারের বিশাল কর্মিসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতে এদিনেই শিলিগুড়িতে পৌঁছে গেলেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

 

দার্জিলিং সফরে মঙ্গলবার মমতার উপস্থিত থাকার কথা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল আডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর দ্বিতীয় বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে। অভিষেক ধুপগুড়িতে সভার মাধ্যমে শহীদ দিবসের প্রস্তুতির পাশাপাশি উত্তরের এই প্রান্তের জনগণকে গেরুয়া থাবা মুক্ত করতে উদ্যোগ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

2011 সালে জিটিএ গঠনের পর এবার প্রথমবার নির্বাচনের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হতে চলেছে, ২৯ জুলাই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল (৪৫টির মধ্যে ২৭টি ) ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বিজয়ী হলেও পাঁচ আসনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে বোর্ডে চায় আর সেই আবেদন নিয়ে দলের সভাপতি অনিত থাপা কলকাতায় গিয়ে মমতার সাথে দেখা করেন।

 

তৃণমূল বোর্ডে থাকবে কিনা তা পরিষ্কার না হলেও অনিত জানান বিজয়ী ৪৫জনই বোর্ডের সদস্য হিসেবে তিনি বিবেচনা করছেন। কেউই বিরোধি নন এবং সকলকে নিয়েই পাহাড়ের উন্নয়ন করতে চান তারা। সমতলের সাথে এক সুতোয় গেঁথে পাহাড়ের উন্নয়ন করার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বোর্ডে যোগ না দিলেও অনিতের পাশে থেকে উন্নতি ঘটানো হবে পাহাড়ে তা পরিষ্কার। মঙ্গলবার কি হয় তার দিকে লক্ষ পাহাড়বাসীর।

 

মঙ্গলবার দার্জিলিঙের মালে জিটিএ বোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর বুধবার মমতা উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি ভানুভক্তর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি মানেই কিছু বাড়তি পাওনা সেই প্রত্যাশা থাকছেই, মমতার সফরকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন তৃণমূলের বিজয়ি প্রার্থী বিনয় তামাং। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই একসাথে শান্তি বজায় রেখে পাহাড়ের উন্নয়নই তাদের লক্ষ।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পার্বত্য এলাকায়।

 

শীর্ষ স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানান ত্রিস্তরীয় প্রহরার ব্যবস্থা করে পাহাড়কে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তার কারণ জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, নির্বাচনে অংশ নেয় নি বিজেপিও। তারা যাতে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না করতে পারে বা বোর্ড গঠনের প্রাক্কালে অপ্রীতিকর প্রদর্শন না ঘটাতে পারে তার দিকে নজরদারি রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষিণ সফরে যেভাবে মাঝ আকাশে কালো বেলুন উড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল সেদিকটা মাথায় রেখে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমোকে স্বাগতম জানাতে পাহাড়ের তার আগমনের পথের সর্বত্র ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোর্ডে থাকা না থাকা তা নির্ভর করবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ওপর তবে যেহেতু রাজ্যের শাসক তারা তাই বোর্ড যেই গড়ুক উন্নয়নের বিষয়ে তাদের পাশে সবসময় রয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন – বনগাঁ হাসপাতালে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু ঘিরে ধুম ধুমার 

এদিকে অভিষেকের সভাকে ঘিরে উত্তরের এই প্রান্তে ব্যাপক উন্মাদনা ধরা পড়েছে, আসাম-বাংলা সীমান্ত বারভিসা থেকে শুরু করে সুদূর তুফানগঞ্জ, সিতাই,মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি হতে হাজির হতে চলেছেন দলের কর্মী সমর্থকরা বলে খবর। আসলে উত্তরের এই বলয় কাগজ কলমে এখনো বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সাংসদ থেকে বিধায়ক গেরুয়াদের দখলদারি বেশি, তাদের মোড়ক থেকে জনতাকে তৃণমূলমুখী করার প্রয়াস এই সভা।

 

সূত্রের খবর এই সভায় যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়া দলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। সকলের পক্ষে কলকাতায় যাওয়া সম্ভব হবে না তাই ধূপগুড়ির সভাকে মিনি বিগ্রেডে পরিণত করার আপ্রাণ প্রয়াস করছেন স্থানীয় নেতৃত্বরা। অভিষেক দলের কর্মীদের কলকাতার শহীদ দিবসের সভায় যাওয়ার নেমতন্ন করতে আসছেন তবে তাকে ধুপগুড়িতে মিনি বিগ্রেডের স্বাদ দেওয়া হবে দাবি করলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top