নতুন মন্ত্রী নতুন উদ্দীপনা। নতুন মন্ত্রীরা নিশ্চয়ই খুব খুশী। তারা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করছেন। কাজে গতি এসেছে প্রবীণ নবীন মেলানো রাজ্য মন্ত্রীসভায়। নতুন সবসময়ই নতুন। নতুনের আগমন হার্দিক হৃদয়ে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আমজনতা। নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। তার এই সিদ্ধান্তে কাজে অধিক গতি আনবে। মন্ত্রীসভায় নতুন মুখের যোগদান বেশ নতুন বাতাস বয়ে এনেছে পশ্চিমবঙ্গে। এই মন্ত্রীদের তার মন্ত্রীসভায় সংযোজন করে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সঠিক ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
জনগণের মধ্যেও উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। বহুদিন ধরেই মন্ত্রীসভায় নতুন কারা দায়িত্ব পাবেন তা নিয়ে চর্চা চলছিল। আজ তা বাস্তব হল। নতুন মন্ত্রী নতুন প্রত্যাশা। নতুন বিশ্বাস। নতুন করে কিছু ভাল হবে সেই আশ্বাস। নতুনদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। পার্থ চ্যাটার্জীর আর্থিক ও নৈতিক কেলেঙ্কারি এই রাজ্যে এমনভাবে চেপে বসেছে যা দুর করা বেশ কঠিন। যখন এইরকম একটা সময় তখন এই মন্ত্রীসভার রদবদল বাতাবরণে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আনতে পারে।
আরও পড়ুন – হাই মাদ্রাসা স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে নমিনেশন দাখিল তৃণমূলের
অনেকেই মনে করছেন ভার লাঘব করা হল কিছু মন্ত্রীর যারা একাধিক দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের হাত থেকে কিছু দপ্তর নিয়ে নতুন আটজনকে ভাগ করে দেওয়া হল। একে ‘কেবিনেট রিসাফল’ বলে। সব রাজ্যের মন্ত্রী সভার এমন রদবদল স্বাভাবিক। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারও মন্ত্রীসভার এমন রদবদল করে থাকে। এটা একটি বহু আলোচিত বিষয়। ভাবার কারণ নেই যে পশ্চিমবঙ্গেই এই বদল হচ্ছে। কিছু কিছু বিরোধী নেতার বক্তব্য এমন যে এমন রদবদল বুঝি শুধুমাত্র বাংলায় হচ্ছে কারণ মন্ত্রীরা কাজ করতে পারছেন না। একদম তা নয়। মন্ত্রীসভা হল মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য একটি কেবিনেট।
অথচ সংবিধান অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীই সব। তিনিই দায়বদ্ধ। তিনিই আমজনতাকে তার কাজের ব্যাপারে অবিহিত করার জন্য দায়িত্ব বদ্ধ। অন্য মন্ত্রীরা ভুল করলেও মুখ্যমন্ত্রী তার দায় এড়াতে পরেন না। তাই পার্থবাবুর ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশী সজাগ এবং কঠোর। সব মন্ত্রীকে তিনি বারবার সতর্ক করেছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দল আরও সতর্ক এবং আইনগত দিক খুটিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে নজরদরি করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। যার ফলে দ্বিতীবার পার্থ জাতীয় অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে।