নদিয়া জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করল রাজ্য সরকার

নদিয়া জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করল রাজ্য সরকার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নদিয়া জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করল রাজ্য সরকার। এই মরসুমে আবারো সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার পয়লা নভেম্বর থেকে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই বাকি সব জেলার মতো নদিয়াতেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কবে ধান বিক্রি করতে চান চাষিরা, তা এবার ঠিক করবেন নিজেরাই।

 

নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রায় দুই লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে এইবার। খাদ্য দফতর, ইসিএসসি (অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম), বেনফেড ও কনফেড মিলিয়ে এই ধান কিনবে। জেলার ১৮ টি ব্লকের ২২টি কিসান মান্ডি থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহায়ক মূল্যে এই ধান কেনা শুরু করেছে। এর মধ্যে ১৯টি খাদ্য দফতর সরাসরি শিবিরগুলো চালাবে। এ ছাড়া পলাশি, শান্তিপুর ও ধুবুলিয়ার তিনটি মান্ডি থেকে ইসিএসসি ধান কিনবে। এই মান্ডি গুলো ছাড়াও বহু কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও মহিলা পরিচালিত সঙ্ঘ বা সমবায় চাষিদের থেকে ধান কিনবে।

 

দফতর সূত্রের খবর, এই বছরই প্রথম চাষি নিজে ঠিক করবেন তিনি কবে ধান বিক্রি করবেন সরকারের কাছে। এতে চাষিদের হয়রানি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কালীগঞ্জের চাষি কাদের কাজি বলেন, “প্রতি বছরই ধান বিক্রি করতে গিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করতে গিয়ে সমস্যা হয়। চাষি নিজেই দিন নির্ধারণ করতে পারলে খুব সুবিধা হবে।”

 

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ধানের সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল পিছু ১৯৪০ টাকা। এ বছর তা ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০৪০ টাকা। এর সঙ্গে মান্ডিতে ধান আনা বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দেওয়া হবে। গত বছর জেলার ১২টি ধানকল ধান কিনত। তার মধ্যে তিনটি ধানকল পরিকাঠামোর ঘাটতির কারণে এখনই ধান কিনবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। বাকি ন’টি ধানকল এই ধান কিনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধান কেনার ক্ষেত্রে ফড়ে বা মিডেল ম্যানের উৎপাত রুখতে আচমকা পরিদর্শন ও মাস্টার রোল পরীক্ষা করা হবে বলে দফতরের কর্তারা ভরসা দিচ্ছেন। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু চাষি নিজেই ধান বিক্রির দিনক্ষণ ঠিক করছেন, তার ফলে এ বার ফড়েদের উৎপাত কমবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন – জগদীশ নগরে সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত জলের পাইপের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লার

নদিয়া জেলা রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মহাদেব সাহা বলেন, “আজ থেকেই ধান কেনা শুরু হচ্ছে। এ বছর যাতে ফড়েরা এই প্রক্রিয়ায় ঢুকতে না পারে তার জন্য সংগঠন আলাদা করে নজর রাখছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।” নদিয়া জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধাড়া বলেন, “ফড়েদের আটকাতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। চাষিরা যাতে সহজে ধান বিক্রি করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর , দুই পুলিশ জেলার সুপার (কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট) কেও নজরদারি রাখার আহ্বান করেছেন বলে জানান খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। যাতে এই ধান কেনার প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও সুস্থভাবে শেষ করা যায়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top