দাদুর বাড়িতে গরমের ছুটি কাটাতে এসে নদীতে মাছ ধরতে নেমে তলিয়ে গেল এক কিশোর। তলিয়ে যাওয়া কিশোরে শিলিগুড়ি শান্তিপাড়ার বাসিন্দা। নিখোঁজ কিশোর এর নাম দীপংকর রায় ,বয়স ১৩ বছর। দাদুর বাড়িতে গরমের ছুটি কাটাতে এসে, নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলো মামা দুই ভাগ্না। আচমকাই নদীতে জল বাড়তে শুরু করে তলিয়ে যায় কিশোরটি বলে দাবি মামার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ। ধূপগুড়ি শহরের ১৩নম্বর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলের জোড়া ব্রিজ এলাকায়।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী। সারাবছর সেইরকম এই কুমলাই নদীতে জল না থাকলেও বর্ষায় এই নদীর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ১৩ বছর বয়সী কিশোরের মামা যেই সময় নদীতে জাল ফেলছিল সেই সময় নদীর পারে দারিয়ে ছিলো দুই ভাগ্না ।এবং তখন ছোট ভাগ্না দীপঙ্কর জলে নামতে গিয়ে তলিয়ে যায়। তার মামা শুভজিত রায় তাকে নদী থেকে তোলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। খবর চাউর হতেই প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমায় এবং সাথে সাথে স্থানীয়রা উদ্ধারকার্যে হাত লাগান।
আরও পড়ুন – মৃন্ময়ী মাতার আগমন বার্তা বরানগর ন’পাড়ায় খুঁটি পুজো
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। তবে তলিয়ে যাওয়া সেই কিশোরকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো নদীতে তলিয়ে যাওয়া যুবককে উদ্ধার করতে পারল না প্রশাসন উৎকণ্ঠা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নিখোঁজ কিশোরের মামা শুভজিৎ রায় বলেন, আমি নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলছিলাম আচকা পিছন থেকে চিৎকার শুনি, দেখি ভাগনা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করছে। আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করল সে জলের নিচে তলিয়ে যায়। এখনো উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধার কারি রা।
ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, সকালবেলা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে যায় এক কিশোর যে শিলিগুড়ির বাসিন্দা। মামাবাড়ীতে বেড়াতে এসেছিল, এবং মামা ও দুই ভাগ্না মাছ ধরতে বাড়ির পাশের কুমলাই নদীতে যায়। নিখোজ কিশোরকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি ৭ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও। বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং স্থানীয় প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল কুমলাই নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনো তো নদীতে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। যদিও ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসলেও উদ্ধার কাজ চালু রাখে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।