নদীয়ার থানার পাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল নেতা সহ আহত ২, আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। নদীয়ার করিমপুরের থানারপাড়া, পিয়ারপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল নেতা সহ তার দুই সহযোগী। ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ জন দুষ্কৃতী। আহত নেতার নাম হাসিবুল মন্ডল। তিনি বর্তমানে ওই এলাকার একজন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। ওই অঞ্চলেরই তৃণমূলের আরেক নেতা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও তার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই সাইফুল ইসলাম প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন – রায়দিঘীতে পুকুর থেকে উদ্ধার কুমির
বহুদিন ধরেই পিয়ার পুর গ্রামে গোষ্ঠীকোন্দল চলছিল বুথ সভাপতি হাসিবুল মন্ডল এবং সাইফুল ইসলাম মন্ডল এর মধ্যে। ঘটনার সূত্রপাত জানা গিয়েছে যে থানার পাড়ার ওসির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষর অভিযান চালিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন এবং তাকে সরানোর দাবি তোলা হয়। এই স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সাইফুল ইসলাম মন্ডল। করিমপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসেন গ্রামবাসীরা।
তার মধ্যে কিছু সই সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কিছু গ্রামবাসীদের ডেকে আনা হয়। তারা জানান যে এই সই তাদের নয় এবং সেগুলো জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা গ্রামের পথ ধরে ফেরার পথে সাইফুল ও তার দলবল তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের অভিযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা অরাজি হওয়ায় তাদের ওপর চড়াও হয় সাইফুলের দলবল। তখন তারা পিয়ারপুর পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেন সাময়িকভাবে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে এলাকা শান্ত হলে গ্রামবাসীরা আবার গ্রামের দিকে আসতেই সাইফুল ও তার দলবল আবারো চড়াও হয় গ্রামবাসীদের দিকে।
গুলি ছুঁড়তে থাকে তাদের লক্ষ্য করে। ঘটনার খবর পেয়ে থানারপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেই তাদের দিকেও ইট বৃষ্টি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী । তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। এরপরেই তেহটের এসডিপিও নাগরাজ দেবগন্ডা এসে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার হয় নাইন এমএম পিস্তল ও বোমার অংশ। এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। নদীয়ার থানার