নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকোই ভরসা ,ভেরভেরি সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের ,দাবি পাকা সেতুর। সারা রাজ্যের সাথে চোপড়া বিধানসভা এলাকাতেও উন্নয়নের জোয়ার । তবুও সেতু সমস্যায় চোপড়া ব্লকের কয়েকটি গ্রাম । উল্লেখ্য চোপড়া ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুটি বড় নদী বেরং এবং ডাউক নদী । এই দুই নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম ধামোড় গছ ভের ভেরি হাসখারী এবং চারঘরিয়া । দৈনন্দিন কাজকর্মে এই গ্রামের মানুষের পশ্চিমে বেরং নদী এবং পূর্বে ডাউক নদী পার হতে বেরং নদীর ধামোর গছ ঘাট ,ও ডাউক নদীর নারায়নপুর ঘাট হয়ে যাতায়াত করতে হয় । । তাই গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের সেতুর দাবি । ভেরভেরি গ্রামের বসবাসকারী প্রাক্তন সেনা কর্মী তথা প্রবীণ বাসিন্দা। জীবন বিশ্বাস সহ এলাকার মানুষের অভিযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থাই এলাকার প্রধান উন্নয়ন । কিন্তু সেই উন্নয়ন থেকেই তারা বঞ্চিত । তাদের নিত্য যোগাযোগের দুদিকে দুটি নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা । কিন্তু বর্ষা এলেই জলের তোরে ভেঙে যায় সেই অস্থায়ী সেতু ।
আরও পড়ুন – চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে
তাই বর্ষার কয়েক মাস তাদের নৌকা এবং ঘুর পথে যাতায়াতেই ভরসা । এই বাঁশের সাঁকো প্রথম দিকে গ্রাম বাসিরাই নিজেদের উদ্যোগে বানাতো । স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রিঙ্কু বিশ্বাস জানান এই এলাকায় নদী পারাপারের জন্য মোট তিনটি বাঁশের সাঁকো বানাতে হয় । পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কয়েকদিন আগে একটি বানানো হয়েছে আরও দুটো হবে। এ ব্যাপারে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন জানান ওই এলাকায় সেতুর জন্য গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানকে জানানো হয়েছে , বিধায়ক সেতুর জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে জানিয়েছেন ।
কিন্তু গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ প্রতি বারে তারা ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি পায় আর ভোট পেরোলে ভুলে যায় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গ্রামবাসি দুঃখ প্রকাশ করে জানান সারা রাজ্যের সাথে চোপড়ার বিধায়কের হাত ধরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে চোপড়া ব্লকে। অনেক পাকা রাস্তা ও হয়েছে । তা সত্বেও কয়েকটা গ্রামের মানুষের স্বার্থে ভেরভেরির ধামোর গছ ঘাটে কেন একটি সেতু পাচ্ছেন না তারা ? গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও গ্রামবাসীরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল সেতু করা হবে বলে । কিন্তু দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পার হল আবার পঞ্চায়েত ভোট এল। গ্রামবাসীদের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আবারো কি তাদের প্রতিশ্রুতির পালা ? নাকি চিরদিনই থাকবে তাদের বাসের সাঁকোয় ভরসা ?