বিদেশ – নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “নরেন্দ্র মোদী এক মহান ব্যক্তি। ওঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। তিনি চান আমি ভারতে যাই, আমরা সে বিষয়ে ভাবছি। সম্ভবত আগামী বছরই ভারতে যাব।”
ওজন কমানোর ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়েই হঠাৎই ভারত প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, “মোদী এখন রাশিয়া থেকে কেনা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমার বন্ধু। আমাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হয়। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক এখন খুবই ভাল জায়গায়।”
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে। রুশ তেল আমদানির উপর আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক ও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর থেকেই এই বিষয়টি কেন্দ্র করে কথাবার্তা বাড়ছে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “রাষ্ট্রপতি ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি ওভাল অফিসে দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন বহু উচ্চপদস্থ ভারতীয়-আমেরিকান আধিকারিকের সঙ্গে। তখনও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়।”
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে। তাঁর এশিয়া সফরের সময়ও এই বিষয়ে মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। “নরেন্দ্র মোদী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাবে কিংবা বন্ধ করবে,” বলেন ট্রাম্প।
তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ট্রাম্পের সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জ্বালানি আমদানির সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জাতীয় স্বার্থ ও ভোক্তাদের সুরক্ষার ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত একটি বড় তেল ও গ্যাস আমদানিকারক দেশ। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ওঠানামার মধ্যেও ভারতীয় ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের অগ্রাধিকার। সেই অনুযায়ীই আমদানির নীতি নির্ধারিত হয়।”




















