নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী ব্যক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানার আদেশ

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী ব্যক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানার আদেশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী ব্যক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানার আদেশ দিলো হাওড়া জেলা আদালত। জানা গেছে, বছর দশেকের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে মহম্মদ চাঁদ ওরফে বাবলু নামের এক ব্যক্তির। শুক্রবার হাওড়া দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক অরুণ রাই (পকসো আদালত) দোষী মহঃ চাঁদকে ২০ বছরের কারাদন্ড ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।

 

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মহঃ চাঁদ ওই নাবালিকার প্রতিবেশী। এরা হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার মাদারতলা লেনের বাসিন্দা। পাশাপাশি বাবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় মাঝেমধ্যে নাবালিকার বাড়িতেও আসতেন চাঁদ। ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ৩০মে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ডাকেন বাবলু। তখন সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল। সেই কারণে নাবালিকা তখন যায়নি। ওইদিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ যখন তার বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল তখন আবার সেই নাবালিকাকে ডাকেন চাঁদ।

আরও পড়ুন – জমা জলে দুর্ভোগ,খানা খন্দে ভরা রাস্তা, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

কিছু কাজের জন্য ডেকেছে মনে করে নির্যাতিতা অভিযুক্তের ৩ তলার ঘরে যায়। পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে তার কোনও সন্দেহ হয়নি।নাবালিকা চাঁদের ঘরে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা বন্ধ করে চাঁদ ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে ওই নাবালিকা। ফেরার সময় বাবলু নির্যাতিতাকে ৫০ টাকা দিয়ে বাড়িতে না বলার জন্য হুমকি দেয়। যদিও রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে নাবালিকা তার বাবা মাকে সব কিছু জানিয়ে দেয়। তা জানতে পেরে নির্যাতিতার পরিবার গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিনই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত মহঃ চাঁদ ওরফে বাবলু।

 

ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি, পকসোর একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এরপর চলে বিচারপর্ব। জেলে রেখেই চলে তার বিচার। এই মামলায় ১৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বুধবার অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়। এদিন তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এদিন এই মামলার সরকারী পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মেয়ের নির্যাতিতা হওয়ার কথা জানতে পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেয়েটির মা। কিছুদিন পরে মৃত্যু হয় তার মায়ের। নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top