ঝাড়গ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকালো পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন

ঝাড়গ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকালো পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ঝাড়গ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকালো পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন । ফের নাবালিকার বিয়ে আটকাতে তৎপর পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এর অন্তর্গত রুখনীমারা এলাকায়। জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা কুঁয়র মান্ডি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে এবং ওই গ্রামের নাবালিকা মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করতে গেলে বিয়ে রুখে দেন বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন।

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকার বাবা অসুস্থ হওয়ার কারনে নাবালিকা মেয়ের মা তার বাবাকে নিয়ে খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সুযোগে ছেলেটি ওই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে আসে বাড়িতে। হাসপাতাল থেকে নাবালিকার মা বাবা বাড়িতে এসে যখন মেয়ে দেখতে না পায় খোঁজা খুঁজি শুরু করে। অবশেষে জানতে পারে কুঁয়র মান্ডি নামে ওই গ্রামের এক যুবক তার মেয়েকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ভবেশ চন্দ্র মাহাত।

আরও পড়ুন – খোলা চিঠিতে প্রতিবাদী লেখক শিল্পীরা- মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া বাংলা একাডেমির পুরষ্কার নিয়ে থামছে না বিতর্ক!

তিনি ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের কুফল সম্বন্ধে বোঝান। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। এরপর পঞ্চায়েত প্রধান ভবেশ চন্দ্র মাহাত ব্লক প্রশাসনের কাছে যান এবং নয়াগ্রাম থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান। নয়াগ্রাম ব্লকের বিডিও ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জীর সহযোগীতায় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা নয়াগ্রাম থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের দিন রাত দেড়টার সময় ছেলেটার বাড়িতে অভিযান চালায় এবং ওই নাবালিকার বিয়ে রুখে দেয়।সেইসঙ্গে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার পড়াশোনা করার জন্য যাবতীয় সহযোগীতা করবে বলে ব্লক প্রশাসন জানায়। প্রশাসনের তৎপরতায় খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top