মালদা – নাম পরিচয় গোপন রেখে নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল মালদহের বাসিন্দা ইয়াসিন শেখ। নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করার পর তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়। জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালত আটমাসের বিচার শেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, নাবালিকার বাবা-মা ভিন রাজ্যে থাকায় সে দিদার সঙ্গে থাকত। ইয়াসিন শেখ মোবাইল ফোনে মিসড কলের মাধ্যমে নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। নাবালিকা তাকে প্রতিবেশি হওয়ায় আগে থেকেই চিনত এবং কাকা হিসেবে ডাকত। কিন্তু একদিন স্থানীয় আমবাগানে ডেকে পাঠানোর পর নাবালিকা সব বুঝতে পারেন। এরপর থেকে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করলে ইয়াসিন ব্ল্যাকমেল ও হুমকি দিতে শুরু করেন। অভিযোগ ওঠে, যোগাযোগ না রাখলে নাবালিকার বাবা-মাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের শুরুতে মালদহ থেকে নাবালিকাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে গিয়ে ইয়াসিন ধর্ষণ করেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঘটনার খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আদালতে আটজন সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আদালত ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেছে। জরিমানা না দেওয়া হলে আরও দুই মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া নাবালিকার পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে।
