গাছে ফলে নারী ফল! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি । গাছে ফলে নারী ফল! বিশ্বাস হচ্ছেনা তো। জানি বিশ্বাস করাটা মুশকিলেরই বটে। তবে ঘটনাটি সত্যি। আজব সে গাছ। সে নারী দেহের আকারে ফল ফলায়! গাছের সঙ্গে মানবদেহের সম্পর্ক তৈরি করতে অনেক চেষ্টা চালিয়েছে মানুষ। তবে এসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে এমন মানুষেরও সন্ধান আমরা পেয়েছি, যাদের গাছ মানুষ হিসাবে চেনে লোকে। কিন্তু গাছে মানুষ হয়ে আছে, এমনটা কি হতে পারে? পুরোপুরি রক্ত মাংসের না হলেও, নারীর আকারে ফল হয় এই পৃথিবীরই একটি গাছে, এমন দাবি অনেকের।
থাইল্যান্ডের একটা গ্রামে বৌদ্ধদের পুরাণ যেন সত্যিই বাস্তবকথায় রূপ নিয়েছে। সেখানে একটি গাছে ফল হচ্ছে, যে ফলগুলি একেবারে নারীদেহের মতো। আসলে এর সঙ্গে জুড়ে আছে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ পুরাণের একটি গল্প। ‘হিমাফন’ বলে এক জঙ্গলে দেবতা ইন্দ্র পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর স্ত্রী ভেসানতারা একদিন খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকজন পুরুষ প্রাণী তাঁকে আক্রমণ করে। নারীদেহ দেখেই সেই পুরুষদের হিংসাত্বক প্রবণতা প্রকাশ পায়। এই ঘটনার পর ইন্দ্রদেব অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তিনি জঙ্গলে ১২টি গাছ তৈরি করেন। তার নাম দেন ‘নরিফোন’। সেই গাছ নারীর দেহের আকারে ফল ফলাতে শুরু করে।
নারীর মুখ ভেসানতারার আদলেই তৈরি হয়। এরপর থেকে ভেসানতারা খাবারের সন্ধানে বেরোলে সেই কামুক পুরুষ প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে যেত ফলগুলো দেখলেই। তারা ভাবত ফল নয়, এগুলিই আসল ভেসানতারা। আর সেই সুযোগে ইন্দ্রের স্ত্রী নিরাপদে ঘরে ফিরতেন। এখানেও শেষ না। সেই ফলগুলি তারা নিজেদের ঘরে নিয়ে গিয়ে সম্ভোগ করত। তারপর টানা চারমাস ঘুমিয়ে থাকত এবং দুর্বল হয়ে পড়ত তাদের সব শক্তি। অর্থাৎ, নারীকে রক্ষা করতে সেই নারী শরীরের টোপ দিয়েই কাজ আদায় করেছিলেন থাই দেবতা ইন্দ্র। এই গাছ নাকি সেই পুরাণকেই সত্যি করেছে। নারী ফলের ভারে তার ডাল নুয়ে পড়ছে। ফলগুলি হুবহু নারী শরীরের আকারের। যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখে সকলে এই ঘটনাকে বিশ্বাস করতে চাননি।
আর ও পড়ুন কলকাতার বুকের এমন কিছু জায়গা যা রাত নামলেই হানাবাড়িতে পরিণত হয়
এই ফলটি এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেজায় জনপ্রিয় এর আকৃতির কারণে। ফলটি দেখতে হুবহু একটা নগ্ন নারী শরীরের মতো। শোনা যায়, নারীলতা ফলের গাছ ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায় এবং ২০ বছরে একবার নাকি এই গাছে ফল ধরে। কিন্তু এই ‘অদ্ভুত দর্শন’ ফলটি আদৌ বাস্তবে রয়েছে কিনা তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা এই গাছের অস্তিত্বের বিষয়টিকে সমর্থন করেননি। কিন্তু পুরান মতে আবার এই ফলের গাছের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে, নেটিজেনরা ‘নারীলতা’ ফুল সত্যিই আছে না নেই এই নিয়ে বিচলিত নয়, তারা বরং এর ‘নগ্ন সৌন্দর্য’ নিয়েই মেতে আছেন। বেশ কয়েকবার দেখা যায় সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার স্বার্থে অনেক সময় ফোটোশপের কারসাজি করা হয়। ‘নারীলতা’-র ক্ষেত্রেও এমন কিছু সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তবুও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।