নার্সের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিক্রি করে দেওয়া মহিলাকে উদ্ধার করল শিলিগুড়ি থানা অন্তর্গত খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার উদ্ধার হওয়া ওই মহিলাকে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির খালপাড়া ফাঁড়ি অন্তর্গত এলাকার এক মহিলাকে নার্সে চাকরি দেওয়ার নাম করে রাজস্থানে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের শিলিগুড়ি থানা অন্তর্গত খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। ওই মহিলাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে ধৃতকে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৯ মে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে ধৃতকে ১১ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেয় খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ২০ মে শুক্রবার রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বুধবার শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস আগে খালপাড়া এলাকার এক মহিলাকে রাজস্থানে নার্সের চাকরি দেওয়ার নাম করে রাজস্থানে নিয়ে যায় শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪ নং ওয়ার্ডের জ্যোতি নগর কলোনির বাসিন্দা মুন্না ওঁরাও। এরপর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলে ওই মহিলার সঙ্গে তার পরিবারের কোন যোগাযোগ না হওয়ায়। অবশেষে গত ১৬ মে মুন্না ওঁরাওয়ের বিরুদ্ধে খালপাড়া ফাঁড়িতে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে ওই মহিলার স্বামী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ১৮ মে রাতে জ্যোতি নগর কলোনি এলাকা অর্থাৎ মুন্নার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর ধৃত মুন্নাকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে ওই মহিলাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে অসম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তে এবং এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানতে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিলিগুড়ি আদালত।
জানা গিয়েছে, মুন্না ওই মহিলাকে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথমে রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাজস্থানের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। শুধু বিক্রি করে দেওয়া নয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয় মুন্না। এরপর ওই ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে এক মাস ঘর করার পর এক লক্ষ টাকার বিনিময় অন্য এক ব্যক্তির কাছে মহিলাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ৪ সন্তান রয়েছে। এক মেয়ের সম্প্রতি বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে এই মহিলাকে উদ্ধার করতে তদন্তে নেমেছে খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ।