নিউটাউনের রাস্তায় এবার ছুটবে ই-বাস! জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অহরহ। আর তাতেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। পকেটে টান পড়েছে তাদের। আর তাই এই অবস্থা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে ই-বাস চালানোর কথা ভাবতে শুরু করেছে রাজ্য। সেই ভাবনার অঙ্গ হিসেবে রাজ্য তাই বেসরকারি সংস্থার সাথে পিপিপি মডেলে নিউটাউনের রাস্তায় নামাতে চলেছে ই-বাস। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ৬ টি রুটে চালু করা হচ্ছে ই-বাস। পরে ধাপে ধাপে রুট ও বাস দুয়ের সংখ্যাই বাড়ানো হবে। ৬ টি রুট হল নিউটাউন থেকে পার্ক সার্কাস, সাপুরজি থেকে হাওড়া, সাপুরজি থেকে মহেশতলা, ইকো-স্পেস থেকে সাঁতরাগাছি, ইকো-স্পেস থেকে বাঙ্গুর, সাপুরজি থেকে এয়ারপোর্ট।
এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের দ্বিতীয় দফার ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস বা ফেম প্রকল্পের আওতায় এই বাস দেওয়া হয়েছে। এই বেসরকারী সংস্থাই বাসের চালক ও পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করবে। অন্যদিকে বাসে কন্ডাক্টর থাকবে রাজ্য পরিবহণ নিগমের হাতেই। এছাড়াও প্রতিদিন বাস চালিয়ে মে টিকিট বিক্রির টাকা আসবে তা কন্ডাক্টর রাজ্য পরিবহণ দফতরে জমা দেবেন। মাসে নূন্যতম ৫০০০ কিমি চালাতে হবে এই বাস।
আর ও পড়ুন সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই
পাশাপাশি বাস চালানোর খরচ প্রতি মাসে নির্ধারণ করেছে কিমি প্রতি ৮৬ টাকা করে। ফলে বাস পিছু বেসরকারি সংস্থাকে নূন্যতম ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেবে রাজ্য পরিবহণ নিগম বেসরকারি সংস্থাকে নূন্যতম ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেবে। বাস চালিয়ে সেই খরচ না উঠলে রাজ্যকেই সেই টাকা দিতে হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে ৯ ও ১২ মিটারের এই বাস রাস্তায় নামানো হবে। রাজ্য সরকার নির্ধারিত ভাড়াতেই আগামী ১০ বছর চলবে এই বাস। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই এই বাস নিউটাউনের রাস্তায় নামবে। নিউটাউনে ই-বাস চার্জ করার পরিকাঠামো আছে। তাই বাস চালাতে অসুবিধা হবে না বলেই জানা যাচ্ছে সূত্রের খবরে।