এখনো বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে । দীর্ঘ 9 বছর কেটে গেলেও এখনো সঠিক বিচার পায়নি কামদুনি নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা । 2013 সালের 7 ই জুন নিশংস শারীরিক অত্যাচারের পর খুন করা হয়েছিল কলেজছাত্রীকে । এরপর সেই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক মাসের মধ্যে বিচারের নিষ্পত্তি করার কথা বললেও এক বছরের মাথায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনের ফাঁসি ও তিন জনের আমরণ জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কিন্তু তারপরেই উচ্চ আদালতে আসামি পক্ষের পরিবারের লোক আবেদন করে। তারপর থেকে দীর্ঘ নয় বছর কেটে গেলও কোনরকম বিচারের বাণী শোনেননি নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা । আজ 7ই জুন কামদুনি নির্যাতিতার মৃত্যু দিবস । ফের বিচারের আশায় প্রতিবাদ সভা করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা । নির্যাতিতা কলেজছাত্রীর অবক্ষয় মূর্তিতে মাল্যদান করে আজকে তাদের প্রতিবাদ সভা শুরু করেন । প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সমীর আইচ, রেখা গোস্বামী কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের অন্যতম টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী ঘোষ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা।
আরও পড়ুন – ফের ঝাড়গ্রামে মাথা চাড়া দিল ম্যালেরিয়া আতঙ্ক
আজ এই প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে ফের বিচার ব্যবস্থা ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা । তবে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য ও নির্যাতিতার পরিবারের দুই ভাই । যদিও নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ রাজ্য সরকার চাকরি দিয়ে আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করেছে যার কারণে এত দিন কেটে গেলও এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী চাকরি স্থায়ীকরণ করেনি । একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিও কোন সদুত্তর পায়নি নির্যাতিতার ছোট ভাই এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি ।
পাশাপাশি নির্যাতিতার বড়ো ভাই তিনি জানান , কামদুনি মামলা কোন আইনজীবীর হাতে রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রী কে চিঠি দিলেও কোনো রকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি । মামলার কোনো গতি প্রক্রিয়ায় জানানো হচ্ছে না নির্যাতিতার পরিবারকে । সরকারি আইনজীবীর কাছ থেকে কোনরকম সাহায্য মিলছে না এই পরিবারের । ফলে তারা চান এই মুহূর্তে সরকার এই মামলার নিষ্পত্তি ঘটাক এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন । আদৌ কামদুনির এই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর অভিযুক্তদের সঠিক সাজা কবে ঘোষণা হয় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা কামদুনিবাসী ।