নিমে মিলবে উপকারী গুণাগুণ

নিমে মিলবে উপকারী গুণাগুণ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

 


রায়া সাধুঃ খেতে তেতো, কিন্তু টোটকা হিসাবে এর ফল অব্যর্থ। সুদূর অতীত নয়, বর্তমানে এই নিমের ব্যবহার অপরিসীম। শরীরের আঘাতের ব্যাথা উপশমকারী হিসাবে যেমন কার্যকরী। ঠিক তেমনি, ফাঙ্গাস ইনফেকশানেরও মোক্ষম দাওয়াই হিসাবে নিমের অবদান অনস্বীকার্য।
নিম্নে দেওয়া হল নিমের কিছু গুণাগুণঃ
১) শরীরের কাটা বা ক্ষতস্থানে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণকে প্রতিহত করতে নিম পাতা বাঁটা প্রলেপ দেওয়া ভালো। ফলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
২) থেকে থেকে মুখে বাজে গন্ধতে পাশের মানুষ বেশ হয়রানি হয়। মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


৩) মাড়ির যন্ত্রণা বা দাঁতের যন্ত্রণা দূর করতে নিম ডাল অত্যন্ত উপকারী।
৪) মুখে ব্রণ কিংবা ফাঙ্গাস ইনফেকশানকে দূর করতে নিমপাতা বেঁটে মুখে প্যাক হিসাবে ব্যবহার করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
৫) মধুমেহ রোগের শিকার হলে রোজকার মেনুতে অবশ্যই নিমপাতা রাখবেন। নিমপাতা ডায়াবেটিস তাড়াতে সহায়তা করে।
৬) কৃমি বা পেটের সমস্যায় জর্জরিত হলে নিমপাতা ভাজা, নিম বেগুন কিংবা নিম পাতা দিয়ে যেকোনো রেসিপি প্রতিদিনের মেনুতে রাখুন। তাতে শরীর থাকবে বেশ ভালো।


৭) যারা সারা বছর খুশকিতে নাজেহাল, এমনকি চুল পড়ে গিয়ে অকালে টাক দেখা দিচ্ছে তাদের জন্য নিমের একটি বিশেষ টোটকা রয়েছে। নিম পাতা জলে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে যাতে সবুজ হয়ে যায়। তারপর সেই সিদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ দিন এভাবে নিমপাতা ব্যবহার করলে বেশ উপকার মিলবে।
8) কাঁচা হলুদের সঙ্গে কাঁচা নিমপাতা ভালো করে বেঁটে মুখে লাগালে ত্বকে ফর্সাভাব দেখা দেয়।
উপরিউক্ত তথ্য অনুযায়ী চললে, ফল মিলবে অনায়াসেই। তাই সবশেষে বলাই যায় দৈনন্দিন জীবনে নিমের গুণ অপরিহার্য।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top