নিম্নমানের কাজের অভিযোগে রাস্তার কাজ বন্ধ করলেন গ্রামবাসী ও তৃনমূল কর্মীরা। রোলার চালানোর পরও উঠে যাচ্ছে নব নির্মিত রাস্তার পিচের চাদর, এবার সেই রোলার আটকে রাস্তার কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থেকে স্থানীয় তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের হরদমনগর তুলসিয়া ঘাট এলাকায়।
যায়, ২০১৭ সালের বন্যার পর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের হরদমনগর থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তা কঙ্কালসার অবস্থায় পড়েছিল। নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচলে বড় সমস্যা হচ্ছিল দীর্ঘদিন থেকেই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলা পরিষদের তহবিল থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তার কাজ ও দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তার উপরে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা সরকারি সিডিউল ছাড়াই পুলিশ প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে স্থানীয় কিছু নেতা কর্মীদের মদতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ধুলোর উপরে পিচের কাজ করে যাচ্ছিল। ঠিকাদার সংস্থাকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো কর্নপাত করছে না। অভিযোগ নতুন রাস্তা রোলার করা সত্ত্বেও উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর। অদূর ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে এই নব নির্মিত রাস্তা, তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন – বঙ্গ গৌরব সম্মান ২০২২
সবমিলিয়ে রাস্তার কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সহ এলাকার বাসিন্দারা। এদিন তাঁরা রাস্তার কাজ বন্ধ করে এর প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রসঙ্গত,এর আগেও একাধিকবার এই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে কাজ আটকে দিয়ে ছিলেন স্থানীয়রা। সরকারি নিয়ম মেনে কাজ না হলে তারা আর কাজ করতে দেবেনা না বলেও সাফ জানিয়ে দেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত এদিন অসমাপ্ত কাজ রেখে বাড়ি যেতে বাধ্য হয় ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল আজিজ বলেন, অনুন্নত মানের রাস্তার কাজ হচ্ছে, কাদামাটির উপর পিচ দিয়ে তৈরি করছে রাস্তা, রাস্তা তৈরির ঘন্টা খানেকের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর। এর আগে ঠিকাদারকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো কথা শুনছে না। পাল্টা পুলিশের হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, এই রাস্তার কাজে বেনিয়ম হয়েছে আমরা কয়েক দিন ধরেই খোঁজ পাচ্ছি। আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন কোনো রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। যত টাকা বরাদ্দ হবে তত টাকার কাজ করতে হবে। যদি ঠিকাদার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান।