কালীপুজোতে বাড়িতে রান্না করে ফেলুন নিরামিষ পাঁঠার ঝোল। উৎসবের মেজাজ এখনও যায়নি। সামনেই কালীপুজো। দীপাবলিতে মা কালীর আরাধনায় মত্ত থাকে বাঙালি। আবার এদিনই সমগ্র ভারতে লক্ষ্মী পুজোর প্রচলন রয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় দীপাবলিতে নিরামিষ ভোজন করে। তবে পশ্চিমবঙ্গে নারীশক্তির দেবীর আরাধনায় খাওয়া হয় নিরামিষ পাঁঠার ঝোল। আসলে কয়েকশো বছর আগে বাঙালি ব্রাহ্মণরা পেঁয়াজ ও রসুনকে আমিষ সবজি হিসাবে গণ্য করতেন। তাই কোনও ঠাকুরের পুজোতে এই আনাজ ব্যবহার করতেন না। এই রীতি মেনেই চালু হয়েছে নিরামিষ মাংসের ঝোল রান্না।
কালীপুজোতে এখনও অনেক মন্দিরেই বলি দেওয়া হয় পাঁঠাকে। আর সেই মাংস নিবেদন করার রীতিও চালু রয়েছে। সেই মাংস হয় পেঁয়াজ রসুন ছাড়াই। জানেন কীভাবে বানানো হয় এই রান্না? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে দেখুন।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস- ১ কেজি
সরষের তেল- হাফ কাপ
দই- ২৫০ গ্রাম
হলুদ- ২ চা চামচ
নুন- ৪ চা চামচ
আদা বাটা- দেড় টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো- দেড় টেবিল চা চামচ
পাঁচ ফোড়নের গুঁড়ো- ৩/৪ চা চামচ
গাওয়া ঘি- ১ কাপ
চিনি- দেড় চা চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো- ২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা- ৬টি
এলাচ- ১৫টি
তেজপাতা- ৪টি
লবঙ্গ- ১৫টি
গরম জল- ১ লিটার
আর ও পড়ুন চলতি সপ্তাহের শেষেই রাজ্যে শীতের আমেজ নেমে আসবে
পদ্ধতি:
মাঝারি আকারের মাংসের টুকরোগুলি নুন, হলুদ বাটা এবং আদা বাটা দিয়ে মাখিয়ে নিন। এবার ২ ঘণ্টা রেখে দিন ঘরের তাপমাত্রায়। ২ ঘণ্টা পর ওই মিশ্রণে দই মিশিয়ে দিন। তারপর আবার ২ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। সময় হয়ে এলে একটি কড়াইতে প্রথমে তেল গরম করে নিন।
এবার তাতে তেজপাতা, এলাচ এবং লবঙ্গ দিয়ে দিন। কয়েক সেকেন্ড নাড়াচাড়া করে ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। ১৫ মিনিট মাংসটি বেশি আঁচে রান্না করবেন। তারপর মাঝারি আঁচে রেখে ১ ঘন্টা ঢেকে দিন। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর ঢাকনা সরিয়ে মাংসটি ভালভাবে নেড়ে নেবেন। এক ঘণ্টা হয়ে গেলে গাওয়া ঘি দিয়ে দেবেন৷ সঙ্গে আলু, নুন, হলুদ বাটা, ধনে গুঁড়ো এবং লাল লঙ্কার গুঁড়ো দেবেন। মশলা যাতে পুড়ে না যায়, তাই এই সময় ৩ টেবিল চামচ জল ছড়িতে দেবেন মশলার সঙ্গে।
এবার মশলা কষে তাতে জল গরম দিয়ে দেবেন। সঙ্গে চিনি, কাঁচা লঙ্কা এবং পাঁচ ফোড়নের গুঁড়ো মেশাতে হবে। ঝোল ভালো করে নাড়িয়ে ঢাকা দিয়ে দেবেন। মাংস যতক্ষণ না সেদ্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করবেন। সেদ্ধ হয়ে গেলেই তৈরি নিরামিষ পাঁঠার ঝোল।