রাজ্য – নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার সময় আরও সাত দিন বাড়িয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এখন এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। শুরু থেকেই ফর্ম ডিজিটাইজেশনে জটিলতার অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন বহু বিএলও (BLO), যা অবশেষে কমিশন মানল।
তবে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি বলছে, সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ কমিশনের স্বতন্ত্র উদ্যোগ। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, এসআইআর নিয়ে কমিশন ‘খেলছে’, আর সেই খেলায় গোলমাল বেড়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেন, অনেক মানুষের প্রাণ গেল। তারপর সময় বাড়ানো হয়েছে। আমাদের ছেলেরা দিনরাত পরিশ্রম করছে। কিন্তু রেফারি যদি নিরপেক্ষ না হন, তাহলে খেলায় অন্যায় হয়।
শাসকদলের দাবি, বিজেপি আগেই কমিশনকে ১ কোটি ২০ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার লক্ষ্য দেখিয়েছে। এখন সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলেই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এটি কি খেলার মাঠ? বিজেপির নির্দেশ মতো ১ কোটি ২০ লক্ষ নাম বাদ না করা পর্যন্ত কি প্রক্রিয়া চলবে? তৃণমূলের বিএলওরা প্রতিটি জোনে নজরদারি করছেন, সব তথ্য অ্যাপে নথিভুক্ত হচ্ছে, ফলে কারচুপি করলে ধরা পড়বে।
অসন্তোষ কেবল তৃণমূলের নয়। বামপন্থিরাও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ফর্ম কীভাবে পূরণ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণই যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন নতুন নির্দেশিকা এসেছে, বিএলওদের অবস্থা নাজেহাল। বিপরীতে বিজেপি দাবি করছে, রাষ্টপতি শাসন জারি করে এসআইআর করানো উচিত।
উল্লেখ্য, ডিজিটাইজেশনের নির্দেশ আসার পর থেকেই বিএলওরা সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসকদের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তখন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান—সময় আর বাড়ানো হবে না। কিন্তু কয়েক দিন পরই সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়া হয়। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন এসআইআর করতে দু’ বছর লাগে। তাই সময় আরও বাড়তে পারে, এবং রাষ্টপতি শাসন জারি করে এসআইআর করানো উচিত।




















