নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে পোস্টার কোচবিহারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল কোচবিহারে।এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে । মঙ্গলবার সকাল থেকেই কোচবিহার শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিরুদ্ধে এই পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে চোর ধরো, জেল ভরো, সোনার দোকানে চুরির সাথে যুক্ত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের লজ্জা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারের সোনার দোকানে ডাকাতির মামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি সোমবার শিলিগুড়িতেও ধিক্কার ও প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি সভা করে। বিভিন্ন সভাতে তৃণমূল নেতৃত্ব কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনাকে প্রচারে এনে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল বিজেপি তরজা যেন এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই পোস্টার বিতর্ককে ঘিরে।
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় নিশীথ প্রামানিকের নাম জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দস্তরের প্রতিমন্ত্রী । এই ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, আর এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক চাপানো তোর শুরু হয়। ঘটনায় কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোটা জেলা জুড়ে তার নামে কোচবিহারের লজ্জা কথাটি উল্লেখ করে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – প্রতিবন্ধী কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করলও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোচবিহারের লজ্জা। আলিপুরদুয়ারের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আদালত তার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তারপর হয় তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে নতুবা জেলে যেতে হবে। কোচবিহারের লজ্জা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই আন্দোলন চলবে। কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী জানান, তৃণমূলের এখন সবাই চোর। পার্থ চোর, পরেশ চোর। এই দলের নেতাদের অধিকাংশই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। আজ নিজেদের কালীমা ঢাকতে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।