ফের একবার নীচু তলার কর্মীদের কাছে কটাক্ষের শিকার সিপিএম নেতৃত্ব। বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। তার প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না।কারণ সিপি এমের উপরতলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই নীচু তলার কর্মীরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। এই সম্মেলনে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সূত্রের খবর,সেখানে রাজ্য সম্মেলনের খসড়া ও প্রতিবেদন পেশ করা হয় ও নির্বাচনে দলের ভরাডুবি থেকে সংগঠনের বেহাল দশার কথাও বর্ণনা করা হয়। এছাড়া,নিষ্ক্রিয় কর্মীদের কথাও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু জানা যায় যে এই সম্মেলনে ব্যার্থতার বেশীরভাগ দায়টা পুরো চাপিয়ে দেওয়া হয় নিচুতলার কর্মীদের ঘাড়ে। আর তারপরই বিক্ষুদ্ধ প্রতিনিধিরা নেতৃত্বকে স্পষ্ট উত্তর দিয়ে বলেন, “আন্দোলন করা থেকে থেকে আক্রান্ত হওয়া সব কাজেই সামনের সারিতে নিচুতলার কর্মীরাই থাকে আর নেতারা শুধু ভাষণ দিয়েই কাজ সারেন।”
এ ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিনিধি বলেন, “ছাত্র-যুবরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন? আপনারা কোথায় থাকেন? মাঝে মধ্যে প্রতীকী দু’একটা কর্মসূচি ছাড়া দেখাই যায় না আপনাদের।” প্রসঙ্গত,এর আগে কলকাতা জেলা সম্মেলনেও এক প্রতিনিধি বলেছিলেন, “নেতৃত্বের কাজ হল বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে আসা আর অফিস থেকে বাড়ি যাওয়া। ফলে নিচুতলার কর্মীদের কাজ করতে কী রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তা বোঝার মতো অবস্থায় থাকেন না নেতারা। এটা অনেকটা ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’ এই তোমাদের পৃথিবী, বাইরে জগৎ আছে তোমরা জানো না।”
আর ও পড়ুন নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে ২০০৭-র ঘটনা স্মরণ করলেন মমতা
এই বক্তব্যের পর জেলা সম্মেলনের বাইরেও সারা রাজ্যজুড়ে এই ঘটনাটি জোরদার হয়ে ওঠে।এ ক্ষেত্রে নীচুতলার কর্মীদের দাবী ছিল ” ভোটের ফল খারাপ হওয়ায় নেতৃত্বের দায় নিতে হবে।” অবশ্য প্রকাশ্যে এই কথাটিই বলে দলে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগণার নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য।তিনি আবার তাড়াতাড়ি নিজের ভুল মেনে নিয়ে বলেন,”প্রকাশ্যে এই কথা বলা ঠিক হয়নি।’ কিন্তু তারপর ও সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাজ্য কমিটির এক সদস্য আবার নেতৃত্বদের একহাত নিয়ে বলেন, “আজকালকার ছেলেমেয়েরা খুবই স্মার্ট। তাঁদের চোখকে ফাঁকি দেওয়া খুবই মুশকিল। আগামী দিন আসছে যেখানে নেতাদের শুধু ভাষণ দেওয়ার দিন শেষ হয়ে আসছে। হয় রাস্তায় নেমে কাজ করো নয়তো বাড়ি চলে যাও।”