উত্তরবঙ্গ – মাঝরাতে উত্তরকন্যা এসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী আবাসে অবস্থান করার কথা ছিল। তবে সেখানে তীব্র নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে রাত্রিবাসের পরিকল্পনা বদল করেন তিনি। অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রথম সারির কোনও টেলিকম সংস্থারই সঠিক নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছিল না কন্যাশ্রীতে। জিও, এয়ারটেলসহ কোনও সংযোগই সক্রিয় না থাকায় তড়িঘড়ি উত্তরকন্যায় উঠে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ নেপালের অস্থির পরিস্থিতি। কন্যাশ্রী থেকে তিনি নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও তথ্য পাচ্ছিলেন না। ফলে প্রশাসনিক যোগাযোগে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। তাই নিরাপত্তা ও কার্যকর তথ্য বিনিময়ের জন্য উত্তরকন্যায় চলে আসা হয়।
এদিন নেপালের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “নেপাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা ভারত সরকারের বিষয়। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভালবাসি, চাই সবাই শান্তিতে থাকুক। প্রতিবেশী ভাল থাকলেই আমরা ভাল থাকব।”
প্রসঙ্গত, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা জনতার সঙ্গে পুলিশ ও সেনার সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে। একাধিক শহরে সরকারি দফতরে আগুন লাগানো, ইট-পাথর ছোড়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। সব মিলিয়ে দেশ কার্যত অরাজকতার মুখে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “নেপাল সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্র এখনও আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি, কালিম্পং-সহ প্রত্যেকটি সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
