নেতাজি ইন্ডোরে খন্ডযুদ্ধ, কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

নেতাজি ইন্ডোরে খন্ডযুদ্ধ, কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
খন্ডযুদ্ধ

নেতাজি ইন্ডোরে খন্ডযুদ্ধ, কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি।  কলকাতা পুর নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে। গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল অনুসারে অধিকাংশ আসন তৃণমূলের দখলে। এদিকে সকাল সকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম চত্বর। খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে।

 

কলকাতা পুরসভার   ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠককে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেস প্রার্থীর জয়লাভের কথা ঘোষণা হতেই নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে তুমুল বচসা শুরু হয় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। শেষপর্যন্ত তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তৃণমূলের শক্তি প্রতাপ সিংয়ের বক্তব্য, তাঁদের কর্মীদের গায়ে শুরুতেই হাত তোলেন কংগ্রেসের কর্মীরা। যা নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও শক্তি প্রতাপ সিংয়ের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন সন্তোষ পাঠক। নিজের গড় অক্ষত রাখলেন তিনি।

 

ব্যাপক উত্তেজনা নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে। সকাল থেকেই একাধিক ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছিল সেখানে। কিন্তু হঠাত করেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের অনুগামীদের দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পৌঁছে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

 

আর ও পড়ুন    রাজ্যের ১০ জেলায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা

কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছে নেতাজি ইন্ডোরে। রীতিমত হেভিওয়েট একটি ভোট গণনা কেন্দ্র। সেখানে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। যদিও পুলিশের দাবি, বিক্ষিপ্ত একটা অশান্তি হলেও তা মুহূর্তে কন্ট্রোল করা হয়েছে। গণনা কেন্দ্রগুলিতে পুলিশের তরফে ত্রিস্তরিয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় গণনাতে কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

 

 

উল্লেখ্য কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড ভোটের দিন থেকে উত্তেজনা ছিল। আর তা গড়াল ভোট গণনার দিনেও। ওই ওয়ার্ডটি কংগ্রেসের কার্যত শক্তঘাঁটি। দিনের পর দিন ওই ওয়ার্ডটি থেকে জিতে আসছেন সন্তোষ পাঠক। এবার এই ওয়ার্ড তৃণমূলের কাছে ছিল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। কিন্তু এরপরেও দেখা গেল ব্যাপক ভোটে জয় পেলেন কংগ্রেসের এই প্রার্থী। আর এরপরেই অশান্তি বলে অভিযোগ।

 

ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী তথা নেতার অভিযোগ, গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরেই সন্তোষ পাঠকের অনুগামীরা হঠাত করেই তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি রড দিয়েও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের দাবি, গণনাতে হেরে যাওয়ার পরেই ক্ষোভ থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। আর তা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।যদিও ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল বাহিনী। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।

উল্লেখ্য, ভোটের দিনও একই ভাবে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে অবাধ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। ছাপ্পা সহ বিরোধীদের এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর একই ভাবে ফের আজও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই নেতার বচসায়।জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই নেতাজি ইন্ডোরের সামনে ব্যাপক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top