ভাইরাল – নেপালে ছাত্র-যুব বিক্ষোভের রোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার নেপালের পার্লামেন্ট ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কেউ মাথায় তুলে নিচ্ছেন চাকা লাগানো চেয়ার, কেউ পালাচ্ছেন কম্পিউটার নিয়ে, আবার কেউ মাটিতে আছড়ে কম্পিউটার ভেঙে ফেলছেন। এমনকি পার্লামেন্ট ভবনের জিনিসপত্র বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ধরা পড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা শুধু পার্লামেন্ট নয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি ভবন, নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবন এবং সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ভাঙচুর করেন। মঙ্গলবার থেকেই নেপালজুড়ে রোষের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লাগানো হয় এবং বহু জায়গা থেকে লুটপাটের ঘটনাও সামনে আসে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলির মধ্যে একটি ‘মহিমা যাদব’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই লাখো মানুষ দেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আন্দোলনের সূত্রপাত হয় নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মঙ্গলবার হিংসাত্মক রূপ নেয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং আর্থিক বৈষম্যের মতো ইস্যু ঘিরে ছাত্র-যুব সমাজের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্রতর হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগও পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেনি।
বুধবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও নেপালের পরিস্থিতি থমথমে। পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রচেষ্টা চললেও দেশজুড়ে এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
