দিল্লী – উত্তর-পূর্ব দিল্লির নেহরু বিহার এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার রাতে বরফ দিতে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি রওনা দিয়েছিল ওই কিশোরী। বহুক্ষণ কেটে গেলেও সে আর ফেরেনি, যার জেরে খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানা যায়, শিশুটিকে ২০০ মিটার দূরের একটি বহুতলের দিকে যেতে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই যান মেয়েটির বাবা এবং দোতলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মেয়েকে একটি সুটকেসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান। মেয়েটির শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিস। অভিযুক্তের সন্ধানে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নেহরু বিহার। স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দোকানপাট বন্ধ করে প্রতিবাদে শামিল হন। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে উত্তেজিত জনতা এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় পুলিস ও আধাসামরিক বাহিনী।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। আম আদমি পার্টি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলে, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোথায়? দিল্লির মেয়েরা আজ সুরক্ষিত নয়।”
