রাজ্য – উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সদর উত্তরকন্যা থেকে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল supremo ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারকে তীব্র সমালোচনা করে বললেন, নোটবন্দির ন’বছর পরে এবার তারা ‘ভোটবন্দি’ এনেছে। তাঁর ভাষায়, স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এর নামে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করাই মূল লক্ষ্য। নোটবন্দির মতোই এই প্রক্রিয়া মানুষের উপর বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এর একমাত্র উদ্দেশ্য বিজেপির সুবিধা নিশ্চিত করা — এমনটাই মমতার মন্তব্য।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন, “মানুষকে হয়রান করে ওদের পতন অবশ্যম্ভাবী।” তিনি সাবধান করে দিয়েছেন যে এসআইআর নামের এই হস্তক্ষেপ ভোটপ্রক্ৰিয়াকে বিঘ্নিত করবে এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আঘাত করবে। মমতা দাবি করেন, মাত্র দু’মাসে এসআইআর চালানো বাস্তবে অসম্ভব; এর ফলে প্রশাসনিক কাজ, স্কুল শিক্ষা ও জনদৈনিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—কেন এত অল্প সময়ে এত বড় রিভিশন চালানো হচ্ছে এবং কার স্বার্থে?
জাতীয় নির্বাচনী কমিশনকেও খাড়া আঙুল দেখান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন যে কমিশন সরকারী রূপরেখা মেনে চলছে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ কর্তব্য পালন করছে না। মমতার বক্তব্য, “কমিশন মানুষের জন্য কাজ করা উচিত; তারা যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” তিনি আরও জানান, রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূল সরকার সবরকম আইনি ও সাংবিধানিক পথে ক্ষতিগ্রস্ত ভোটারদের রক্ষা করবে এবং প্রয়োজনে তিনি নিজে সওয়াল দেবেন—“প্রয়োজনে আমার গলা কাটতে পারো, কিন্তু একজন প্রকৃত ভোটারেরও নাম যেন কাটা না যায়।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে হাই-ভোল্টেজ বিতর্কের কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন—নির্বাচনী সময়ে এমন কোনো পদক্ষেপ যদি উপাদেয়ভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে সেটি ভোটগ্রহণের নিরপেক্ষতা ও অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে তারা আইনানুগ প্রতিরোধ করবে এবং প্রতিটি ভোটারের ভোটাধিক্য নিশ্চিত করবে।




















