ওসামার বাবাকে ভারতে আনার প্রস্তুতি, পুলিশ রেড কর্নার নোটিশ জারি করবে। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পাকিস্তানের বড় ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে সন্ত্রাসী মডিউলটি ভেঙে দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। এখন দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই পুরো সন্ত্রাস মডিউলের মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার সন্ত্রাসী ওসামার বাবা। ধৃতদের উৎসবের মরসুমে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল বলে জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ এটিএস।
এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী গোটা ঘটনার মূল চক্রী হল পাকিস্তানে ট্রেনিং নিয়ে আসা ওসামার বাবা উসেদুর রহমান। ওসামাকে জিজ্ঞাসা করেই ঘটনায় তার বাবার ভূমিকার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এমন কিছু চ্যাট পাওয়া গিয়েছে, যার প্রেক্ষিতেই ওসামার বাবাকে গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বলা হচ্ছে। এমনকী আইএসআই-এর সাহায্যেই ওসামা পাকিস্তানে ট্রেনিং নিতে গিয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।
ওসামার বাবা বর্তমানে দুবাইতে রয়েছে এবং সেখানে মাদ্রাসা চালাচ্ছে। তবে সেই মাদ্রাসার সঙ্গে যোগ রয়েছে আইএসআই-এর। এছাড়া ওসামার কাকা হুমেদুর রহমানও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা যাচ্ছে। হুমেদুরই জিশানকে পাকিস্তানে ট্রেনিং-এর জন্য পাঠিয়েছিল। তবে আপাতত সে পলাতক। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। হুমেদুর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।
আর ও পড়ুন জল্পনার অবসান, সামনে আসলো নুসরতের ছেলের পিতৃ পরিচয়”
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওসামার বাবা এবং সন্ত্রাস মডিউলের মাস্টারমাইন্ড উসাইদুর রেহমানের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ একটি রেড কর্নার নোটিশ জারি করবে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে রেহমান সরাসরি আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শুধু তাই নয়, প্রয়গরাজ থেকে ছুটে আসা ওসামার চাচা হুমাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারির দাবি জানানো হবে।
দিল্লি পুলিশ সন্দেহ করে যে হুমাইদুর রেহমানও এই মডিউলের একটি অংশ। প্রকৃতপক্ষে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ এই বিষয়ে তথ্য পেয়েছিল। এমন অবস্থায় এখন পুলিশ সন্দেহ করছে যে হুমাইদুর রহমান হয়তো ভারত থেকে পালিয়ে যাবেন। এমন পরিস্থিতিতে, দিল্লি পুলিশ শীঘ্রই হুমায়দুরের বিরুদ্ধে জারি করা লুক আউট সার্কুলার পেতে চায়।