নো এন্ট্রি-তে থাকা লরির চালক ও খালাসিদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন দান বাবা কমিটি ও কাঁকসা ট্রাফিক পুলিশ। দুর্গোৎসবে মণ্ডপে মন্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড়। জাতীয় সড়কের ওপরে জন সাধারনের আনাগোনা। তার ওপর পুজোর দর্শনার্থীদের গাড়ির ভির। এছাড়াও রয়েছে জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন মন্ডপ। আর সেই জন সাধারণের ভিড়কে সামাল দেওয়ার জন্য দু’নম্বর জাতীয় সড়কে পুজোর ক’টা দিন থাকে ‘নো-এন্ট্রি’।
সন্ধ্যার পর পানাগড় থেকে বিরুডিহার মধ্যে থাকা সমস্ত মালবাহী ট্রাক লরিগুলিকে পানাগড় ইন্ডিয়াস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতর রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের সেখানেই থাকতে হয়। তারা পায় না কোন পানীয় জল ও খাবার। তাই ‘দান বাবা সেবা কমিটি’ ও ‘কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের’ উদ্যোগে ‘নো-এন্ট্রি’ চলাকালীন গাড়িগুলির চালক ও খালাসীদের পানীয় জল ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের ওসি প্রসেনজিৎ বসাক ও দান বাবা কমিটির চেয়ারম্যান পিরু খান দাঁড়িয়ে থেকে নিজের হাতে ট্রাক চালক ও খালাসীদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন।
আরও পড়ুন – কলকাতা-শ্রী সহ ৭টি শারদ সম্মান জাগরীর থিম “আলোর দিশারী-র” ঝুলিতে
মেনুতে ছিল খিচুড়ি, সবজি, চাটনি, জল। নো-এন্ট্রি-তে আটকে পড়া চালক থেকে খালাসী সকলেই খুশি তাদের রাতের ভোজন করানোর জন্য। তারা জানান, ‘তারা গাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও খেতে যেতে পারত না, সারারাত তাদের অভুক্ত থাকতে হতো। খাবার খেয়ে তারা সকলেই সাধুবাদ জানান কমিটির সদস্যদের ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশদের। উপস্থিত ছিলেন দানবাবা কমিটির চেয়ারম্যান পিরু খান, সভাপতি বাপি মল্লিক, সম্পাদক বাবলু খান, সহ সভাপতি শেখ ইসরার আলী, কোষাধ্যক্ষ, মোস্তাফা আসগর। কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলাউদ্দিন শেখ। কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের ওসি প্রসেনজিৎ বসাক সহ অন্যান্যরা।