পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষে আদি তৃণমূল কর্মীদের সংবর্ধনা বিজয়া সম্মিলনীতে। জনসংযোগের লক্ষ্যে শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের নগরের কিশান মান্ডি ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী ও বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি। এই বিজয়া সম্মিলনীর মোড়কেই আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রচার এবং জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিলেন খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে দলের পুরনো কর্মীদের সংবর্ধনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাতে তাঁরা উজ্জীবিত হবেন বলে আশা জেলা নেতৃত্বের। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে জানা যায়, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবেন। জেলার প্রাক্তন বর্তমান সবাই হাজির ছিলেন এদিনের কর্মসূচিতে। বিজয়া সম্মিলনীর এই কর্মসূচি কীভাবে পালন করতে হবে তা আগেই দলের সব বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে খড়গ্রাম ব্লকের সভাতে প্রত্যেক বুথ থেকে দু’জন করে প্রায় ৫০০ কর্মীকে সংর্ধনা দেওয়া হয়। দলের পুরনো কর্মীদের ও এই সংর্ধনা দেওয়া হয়। এই কর্মী নির্বাচন করতে হবে ২০১১ সালকে ‘বেঞ্চ মার্ক’ ধরে নিয়ে। অর্থাৎ, আদি তৃণমূল হতে হবে।বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে জনসংযোগের মাধ্যমে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে দলে যে নতুন-পুরানো কোনও দ্বন্দ্ব নেই খড়গ্রাম ব্লক নেতৃত্বের মধ্যে,সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয় শনিবারের সভা থেকেই।
আরও পড়ুন – থিম ও সাবেকিয়ানার মেল বন্ধনে নজর কাড়বে ডুয়ার্সের নেতাজী সংঘ
ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এলাকায় এই সম্মেলন করে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের পুরনো নেতা–কর্মীদের মঞ্চে ফুলের তোড়া এবং দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে মিষ্টি মুখ সহযোগে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বহুবছর ধরেই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী করে আসছে দল। তবে এবার বিজয়া সম্মিলনীর গুরুত্ব আলাদা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরুন। বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্রের অবিচার, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় উচ্চমানের জীবনযাপন, কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্মসংস্থানের সদিচ্ছা সহ সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না তা দেখুন।
মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বক্তব্যের মাধ্যমে আজকের সভায় উপস্থিত জেলা নেতৃত্ব ও ব্লক নেতৃত্ব। আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও জঙ্গীপুর লোকসভার সাংসদ জনাব খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও জয়পুর বিধানসভার বিধায়ক আশীষ মার্জিত, খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শামসের আলী মোমিন, কান্দী মহকুমা ছাত্র যুব নেতা শাশ্বত মুখার্জী, বড়ঞা বিধানসভার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও বহরমপুর পৌরসভার সদস্য ভীষ্মদেব কর্মকার, খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত,
খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু মন্ডল, বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোকুল ঘোষ, কান্দী ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ওসমান গনি, কান্দী পৌরসভার কাউন্সিলর সুকন্যা দত্ত সহ সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্চল সভাপতি শাখা সংগঠনের সভাপতিগণ। এদিনের সভাশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক আশীষ মার্জিত বলেন, খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়গ্রাম ব্লক আবারও বিরোধীশূন্য হতে চলেছে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।