জলে ভাসছে পটাশপুর, খোলা হয়েছে অন্তত একশোটি ত্রাণ শিবির

জলে ভাসছে পটাশপুর, খোলা হয়েছে অন্তত একশোটি ত্রাণ শিবির

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
পটাশপুর

জলে ভাসছে পটাশপুর, খোলা হয়েছে অন্তত একশোটি ত্রাণ শিবির ।  বলা যায় বানভাসি পটাশপুর !  বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল এলাকার জেলা জুড়ে প্রবল বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উপকূল এলাকাগুলিতে। যার ফলে নীচু এলাকাগুলিতে জল জমতে শুরু করেছে। গ্রামগুলিতে অধিকাংশ পুকুর ডুবে গিয়ে রাস্তা ভাসিয়ে দিয়েছে। কিছু কিছু নীচু এলাকার বাড়িগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

 

অধিকাংশ রাস্তাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আর পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও এগরা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে অন্তত একশোটি ত্রাণ শিবির। বৃষ্টির পাশাপাশি সংলগ্ন নদীগুলিতে জোয়ারের জল অবস্থা আরও জটিল করে তুলেছে। রাস্তাঘাট জলের তলায়। মাছের ভেড়ি, পুকুর, ধানজমি সবই চলে গিয়েছে জলের নীচে।

 

বিশেষ করে পটাশপুরের কেলেঘাই ও বাগুই নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিশ্বনাথপুর, তাপিন্দা, গোকুলপুর-টাকাবেড়িয়া । অপরদিকে মথুরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাল্যগোবিন্দপুর , হাজিচক , মথুরা ১, ২ , চন্দনখালি , খেত্রপাল , পানিয়াসারদাবাড় সহ একাধিক বিস্তীর্ন এলাকা ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে চরম দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আর এহেনঅবস্থায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক , পটাশপুর ১ ব্লকের বিডিও পারিজাত রায় ও পটাশপুর ২ ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস।

 

তাছাড়া নদী সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য বোল্ডার, পাথর, মাটির বস্তা সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।২০০৮ সালে বন্যা ভয়াবহতা দেখেছিলেন স্থানীয় পটাশপুরের বাসিন্দা। আর তারই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছেন তারা। একদিকে করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষজন অন্যদিকে সেই ঘরেই জল ঢুকে যাওয়ায় ঘর থেকে বেরিয়ে জায়গায় উঁচু আশ্রয় নিচ্ছে ।

 

আর ও  পড়ুন    হলুদ শাড়িতে অনুরাগীদের নজর কাড়লেন বলিউডের ‘মস্তানি’ এই অভিনেত্রী

 

তবে দীর্ঘদিন বাঁধ এর দুরবস্থার কথা প্রশাসন কে জানানো সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় জল ঢুকে ধান জমি পুকুর কাঁচা বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন বিডিও পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বহু সাধারণ মানুষ তাদের গবাদিপশু গুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছেন।

 

এবিষয়ে পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, টানা কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়েছে পটাশপুর। ইতিমধ্যে জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধারের করে নিরাপত্ত আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছে। পাশাপাশি তাদের খাওয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

অপরদিকে গবাদিপশুদের আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও , কেলেঘাই ও বাগুই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে পটাশপুর আরোও প্লাবিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং এলাকাগুলিতে মাইকিং প্রচার চলছে।

 

পটাশপুরঅপরদিকে এলাকাবাসী পুলকেশ বর্মণ বলেন, অতিভারী বৃষ্টির ফলে ধান থেকে শুরু করে নানান ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে । যার ফলে কার্যত চিন্তায় মাথায় বাজ পড়েছে এলাকার চাষিদের । জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিবছর এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এলাকার চাষি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাইকেই ৷ তাছাড়া প্রবল বৃষ্টি ও নদীর জলে একাধিক মাটির বাড়ি ইতিমধ্যে জলের তলায় রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top