আমেরিকা -আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় পরিবারের তিন সদস্যের। আদপে তেলঙ্গানার বাসিন্দা পেশায় সফটওয়ার কর্মী প্রগতি তাঁর দুই ছেলে, স্বামী ও শাশুড়িকে নিয়ে ফ্লোরিডায় থাকতেন। সপ্তাহশেষে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।জানা গিয়েছে দুর্ঘটনায় মেয়ে প্রগতি রেড্ডি (৩৫), তাঁর ছয় বছরের ছেলে অরভিন এবং ৫৬ বছর বয়সি শাশুড়ি সুনীতার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন মহিলার স্বামী ও তাঁর আট মাস বয়সি সদ্যোজাত সন্তান। প্রগতির স্বামীই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে খবর।
সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পথ দুর্ঘটনায় তেলেঙ্গানার এক পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।এছাড়া ভারতে বসে পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন প্রগতির বাবা মোহন রেড্ডি। তিনি জানান তেলঙ্গানার রাঙ্গা রেড্ডি জেলার টেকুলাপল্লি গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। মেয়ে প্রগতি ২০১২ সালে আমেরিকায় যান এবং সেখানেই বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন।
তিনি জানান, সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ আমরা খবর পাই ভুল দিক থেকে আসা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওঁদের গাড়িয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানা নেই। কিন্তু আমার জামাই এবং আমার আট মাস বয়সি নাতি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।মোহন রেড্ডি জানান, শীঘ্রই আমেরিকায় মেয়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। পরিবারের আরেক সদস্যের দাবি, প্রগতি পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তবে মার্কিন মুলুকে পথ দুর্ঘটনায় ভারতীয়দের মৃত্যুর ঘটনা প্রথম নয়। গত বছরের অগস্টে, সেন্ট্রাল টেক্সাসে একই রকম পথ দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল, যার মধ্যে তিনজনের একটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবার ছিল। যদিও গাড়িতে থাকা ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর বেঁচে যায়।
মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী অরবিন্দ মানি, তাঁর ৪০ বছর বয়সি স্ত্রী প্রদীপা অরবিন্দ এবং তাঁদের ১৭ বছর বয়সি মেয়ে আন্দ্রিল অরবিন্দ। টেক্সাসের লিয়েন্ডারের বাসিন্দা এই পরিবারটির সবচেয়ে ছোট সদস্য ১৪ বছর বয়সি আদিরিয়ান বেঁচে ছিলেন। জানা যায় সে সময় গাড়িতে না থাকার কারণেই রক্ষা পান তিনি।
