ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার, কী সেই পদক্ষেপ? জানুন । ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় এবার নড়েচড়ে বসলো রাজ্য সরকার। বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়েছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়। আয়লার পর আম্ফানের মতো অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ও রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় ধ্বংসলীলা চালিয়ে গিয়েছে একাধিক ঘূর্ণি। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের তরফে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল।
নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যে আরও ২৪টি সাইক্লোন সেন্টার খোলা হবে। রাজ্যের তরফে এই মর্মে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনাতেও এই সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক বেশি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তাব জমা পড়েছিল। তা থেকেই কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করে ২৪টির সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সবুজ সংকেত দেওয়ার পর জেলা প্রশাসন কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সম্প্রতি আম্ফানের মতো মহাপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছিল বাংলার বুকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সরাসরি বাংলার উপকূলে আছড়ে না পড়লেও সমুদ্রে যে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে সমুদ্র উপকূলে প্রভূত ক্ষতি হয়েছিল। সমুদ্র বাঁধ, নদী বাঁধে ধস নেমে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার এবার বিপর্যয় মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
আর ও পড়ুন পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন জাপান, জার্মানি ও ইতালীর তিন বিজ্ঞানী
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১টি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরে সাইক্লোন সেন্টার হচ্ছে ৯টি। আর উত্তর ২৪ পরগনায় সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে চারটি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তুলতে খরচ হবে আনুমানিক এক কোটি টাকা। এক একটি সাইক্লোন সেন্টারে প্রায় দু-হাজার বাসিন্দা আশ্রয় নিতে পারবেন।
আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারের সরিয়ে ওই সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হবে। বেশি করে সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় ২৪টি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।