পদ্মা সেতুর সূচনায় দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য নতুন আলোর দিশা

পদ্মা সেতুর সূচনায় দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য নতুন আলোর দিশা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পদ্মা সেতুর সূচনায় দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য নতুন আলোর দিশা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর বসিরহাটের ভারত বাংলাদেশের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আমদানি রপ্তানি সংস্থা এবং ওপার বাংলার ভোমরা সীমান্তের আমদানি রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তি উদযাপনে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন আলোর দিশা দেখছেন সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চালক ও শ্রমিকরা। এদিন বসিরহাট সীমান্তের আমদানি রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের ভোমরা আমদানি রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক ও সভাপতি তারা। বলেন পদ্মা সেতু হওয়ায় ঘোজাডাঙ্গার সীমান্ত থেকে ঢাকা দূরত্ব প্রায় ২২০ কিলোমিটার কমে গেল।

 

যার ফলে যেখানে প্রতিদিন সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ পন্যবাহী ট্রাক ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কর‌ত সেখানে আরো দুই থেকে তিনগুণ বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী মহলের কর্তারা। সীমান্তের সব আমদানি রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডল ও সহ-সভাপতি অচিন্ত্য ঘোষরা বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আজকে যে মিলন উৎসব হলো তার মধ্য দিয়ে আমরা একদিকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের নতুন আলো দেখতে পাচ্ছি। পাশাপাশি বর্ষপূর্ত উদযাপনে আমরা দুই দেশের পর্যটকরা যাতে অসুস্থ হলে বিনামূল্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পায় সেই দিকে নজর। যেমন একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সীমান্তের মানুষের জন্য দেয়া হলো। পাশাপাশি পঞ্চায়েত, পৌরসভার এর সুবিধা পাবে। এছাড়াও অনেক দুস্ত মানুষ আছে যারা মারা গেলে সববাহি গাড়িটুকু জোগাড় করতে পারে না।

 

তাদের জন্য নতুন গাড়ি দেওয়া হলো প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী আজকে অনুষ্ঠানের মধ্যে বিয়ে সবার জন্য পরিষেবা দেবে। এই শুভ উদ্বোধনে সূচনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বারিক বিশ্বাস, উত্তর চব্বিশ২৪, পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য শাহানুর মন্ডল, বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পুর্তের কর্মদক্ষ শফিকুল দফাদার প্রধান মেম্বার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।বাংলাদেশী ব্যবসায়ী কাজী জানান স্বপ্নের পদ্মা সেতু হওয়ায় দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য আরো বেশি সুদৃঢ় তথা অটুট মজবুত হল।

আরও পড়ুন – যারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে স্বীকৃতি দেননা তাদের কাছে কী শিখব, শুভেন্দু

বাংলাদেশের ভোমরা আমদানি রপ্তানি সংস্থার সভাপতি কাজী নওশাদ বিল্লা রাজু সহ ১০ জনের প্রতিনিধি দল এ দিন ভারতে ভোজাডাঙ্গা আমদায় রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তিতে যোগদান করে বলেন আগামী দিনে ভোটে ডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছও ভারতে পাঠানো হবে এর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার সেই পরিকাঠামোর বাস্তবায়ন হলেই সেই পরিষেবা শুরু হবে বলে আশাবাদী দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ।

 

অন্যদিকে বাংলাদেশের নতুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পণ্যবাহী গাড়ির আনাগোনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা আগামী দিন এই ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে যাতে পদ্মার ইলিশ এদেশে ঢুকে তার সব রকম চেষ্টা চালাবো। এই সীমান্তে কিছু পরিকাঠামের অভাব রয়েছে সেইটা তৈরি হলে আগামী দিনে ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তারা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top