১০ বছর পর পুলিশ ও হ্যাম রেডিওর তৎপরতায় স্বামীকে ফিরে পেলো স্ত্রী । পুলিশ ও হ্যাম রেডিও তৎপরতায় ১০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেল বিহারের রাগিয়া দেবী।বিহারের মধেপুরা জেলার আলম নগর থানার বৈশালীটোলা গ্রামের বাসিন্দা সতীশ সাহ ২০১০ সালে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। সেই সময় স্থানীয় আলম নগর থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করার পর দু’বছর পর পুলিশি তৎপরতায় বাড়ির লোকেরা তাকে ফিরে পায়।
এরপর তাকে চিকিৎসা করার পর তারা জানতে পারে সতীশ সাহ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তারপর থেকে বাড়ির সকলেই তার ওপর নজর রাখলেও ২০১২ সালে আবারো একদিন তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায় না বাড়ির লোক।গত এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানার ঢোসা চান্দনেশ্বর এক বৃদ্ধকে সন্দেহজনক ভাবে চলাফেরা করতে দেখে এলাকার মানুষ সেই খবর পেয়ে প্রত্যয় এর সদস্য দেবব্রত হালদার বারুইপুর মহিলা থানার আই সি কাকলি ঘোষ কুন্ডু কে পুরো ঘটনা জানায়।
এর পর কাকলি ঘোষ কুন্ডু তার পরিচিত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্নধার অসীমা দে কে জানান।অসীমা দে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে খোঁজ করলে জানতে পারেন, ঢোসা চন্দনেশ্বর এলাকার পিন্টু নস্কর ও সুবল মন্ডল ঐ বৃদ্ধ কে একটি জায়গায় রেখে খাওয়ার দেওয়ায় ব্যবস্থা করেছে।তাদের সাথে যোগাযোগ করে অসীমা দে ঐ বৃদ্ধর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং হ্যাম রেডিওর সাথে যোগাযোগ করেন।
হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধ র পরিচয় জানার সররকমের চেষ্টা করে।এবং অবশেষে তার ঠিকানা খুঁজে পায়,হ্যাম রেডিওর কর্নধার আম্বরিস নাগ সাংবাদিকদের জানান ,নিখোঁজ বৃদ্ধের বাড়ির লোকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে ,তারা জয়নগর থানার উদ্যেশে বিহার থেকে রওনা দিয়েছে।
আর ও পড়ুন ভাপা বা চিতই পিঠা খেতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমীরা
উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তির বাড়ি বিহারের মাধেপুরা জেলার আলম নগর থানার বৈশাটলিগ্রামে। বৃদ্ধার বাড়ির লোক খবর পেয়েই বিহার থেকে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন জয়নগর থানায়।শনিবার বিকালে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাতরা ঐ বৃদ্ধ কে ঢোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম থেকে থানায় নিয়ে আসেন এবং তার বাড়ির লোকের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেন সতীশ সাহ কে।
১০ বছর পর নিজের স্বামীকে খুঁজে পেয়ে খুশি স্ত্রী রাগিয়া দেবী ।নিখোঁজ দাদা কে ১০ বছর পর এভাবে ভিন রাজ্য থেকে ফিরে পেয়ে খুশি ভাই নিরোজ কুমার। তিনি জানালেন,পুলিশ এবং হ্যাম রেডিওর সহযোগিতায় আমরা আমাদের দাদাকে ফিরে পেলাম,এটা ঈশ্বরের বড় দান।