হাওড়া – যদি বলা হয়, পরম যত্নে সাময়িক পরিযায়ীদের আগলে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা, তবেই বোধহয় ভুল কিছু বলা হবে না। ওরা সংখ্যায় শতাধিক। প্রতিদিন সকালে দল বেঁধে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় ফেরে ঘরে। কাকভোরে ওদের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে এলাকার মানুষের, তারপর ওরা ছড়িয়ে পড়ে হেথা-হোথা—অন্য কোথাও, অন্য গন্তব্যে। ওদের জীবনের মূলমন্ত্র যেন “হেথা নয়, হোথা”—চিরচলমান যাযাবর জীবন।
দিন শেষে ফেরার পথে ওদের উচ্ছল ডাকাডাকিতে আবার মুখরিত হয়ে ওঠে আমতা থানা এলাকার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন অঞ্চল। পথচলতি মানুষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা—সবাই থেমে যায় মুহূর্তের জন্য, দুচোখ ভরে দেখে সেই দৃশ্য।
ওদের উপস্থিতিতে এলাকা যদিও খানিকটা নোংরা হয়ে পড়ে, ব্যবসায়ীরা তবু মুখে হাসি রেখে সহ্য করেন সেই কটু, কারণ তারা জানেন—এই পরিযায়ীরা প্রকৃতির অতিথি। শীতের সময় আবার ওদের দল আরও ভারী হয়। কেউ শামুকখোল, কেউ খড়হাঁস, কেউ হরিয়াল—নানান প্রজাতির এই পাখিরা আসলে এই অঞ্চলেরই অস্থায়ী বাসিন্দা। ব্যবসায়ীদের সাফ কথা—ওদের বিরক্ত করা চলবে না, কারণ ওরা এদেশীয় হয়ে ও যাযাবর, আর এই প্রকৃতির ভারসাম্যেরই এক অঙ্গ।




















