পার্টির মধ্যে বড় পরিবর্তন হচ্ছে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, বললেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন,
পার্টির মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ হতেই পারে, কোন বিষয়ে একমত না হতে পারে। তার জন্য কথাবার্তা বলে ব্যবস্থা আছে পার্টিতে। ক্ষোভ বিক্ষোভ যথাস্থানে বলা উচিত। আমাদের এখানে মন্ত্রী মহামন্ত্রীর মধ্যে মারামারি হয় না। পরিবর্তন হলে সেটা মেনে নিতে সময় লাগে, পার্টির মধ্যে বড় পরিবর্তন হচ্ছে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। যারা এগুলো মেটাবার দায়িত্বে আছে মেটানো উচিত এটাই রাস্তা।
মদন মিত্রের ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে বলেন, উনাদের পার্টিতে কি ব্যাবস্থা আছে জানি না, যারা আছেন তারাই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আমাদের দলে যারা নেতৃত্বে আছে তারা অনেকে অসুস্থ ছিলেন, তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি যথা সময় কথা হবে। ভোট নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম, কমিশন আধাআধি মেনেছে। সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছে। বাস্তব পরিস্থিতি যা হয়েছে করোনার প্রকোপ সেটা দেখে করা উচিত, যতক্ষণ না নর্মাল হচ্ছে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পাচ্ছে ততক্ষণ ভোট করা উচিত নয়। কোন নিদিষ্ট ডেট করা উচিত নয়, যখন পিছচ্ছেন তখন একমাস তো পিছনো উচিত।সরকার কি বলতে পারবে ১৫ দিনে সব নর্মাল হয়ে যাবে।
সরকার নোটিফিকেশন বিধিনিষেধ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, . এসব কথা বলার জন্য বলা, ইকোপার্কে নববর্ষে ৭৫ হাজার লোক এসেছে, তারপর বিধি মানা সম্ভব। সাধারণ মানুষ মেলা থেকে রোজগার করে সেটাও দেখতে হয়, গঙ্গাসাগর মেলাতে কেউ মানেনি, মানা সম্ভবও নয়।
আর ও পড়ুন হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে হারানো ছেলে ফিরে পেল মা
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যাবলো বাতিল প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, তারা এমনভাবে ট্যাবলো করে যাতে মূলত খবর হয়, ওরা ট্যাবলো করেনা রাজনীতি করতে চায়। কথাবার্তা বলে করা উচিত যেটায় ঠিকঠাক ম্যাসেজ যায়।শহরে বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোস্টার রাজনীতি সহজ, যারা বাড়িতে বসে আছে তারাই করে, পোস্টার দিয়ে রাজনীতি হয় না। খবরের জন্য পোস্টার মারে।
অভিষেকের টিম একজনকে হাসপাতালে ব্যাবস্থা করে দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই টিমকে রাজ্য চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হোক। তারা ভ্যাকসিনেশন করুক, ভারত থেকে আলাদা পশ্চিমবঙ্গ, আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা ডায়মন্ড হারবার। টিএমসি থেকে আলাদা অভিষেক। এই বার্তায় জানি না কার উপকার হতে পারে, হতে পারে নেতা হিসাবে তাতে সমাজের কোন লাভ হয় না।কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনার কথা বলা উচিত না হলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে, কথা বলুন শরীরটা ঠিক থাকবে।