পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগ ছোট গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে, আহত তিন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতরের তিন কর্মীর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ছোট গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তিন নিগৃহীত কর্মীর মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা শহরের ব্যস্ততম রাস্তা সুনীতি রোডের হাসপাতাল চৌপথী এলাকা দীর্ঘ সময় অবরোধ করে রেখে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে। পরে পুলিশ এক অভিযুক্তকে আটক করে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আধিকারিকরাও সেখানে ছুটে যান।
ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মী দীপেশ কুমার দাস বলেন, যত্রতত্র ভাবে ডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকে ছোট গাড়ি, যার ফলে প্রতিনিয়ত সরকারি বাস বার করতে এবং ঢোকাতে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় বাসের চালকদের। এই বিষয়ে একাধিকবার ট্রাফিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। ইতিমধ্যেই দপ্তরের কর্মীরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।
অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার সহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহত্তর থেকে বৃহত্তম আন্দোলনের দিকে সামিল হবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন সংস্থার কর্মীরা বলেও জানান তিনি। ঘটনায় আহত কন্ডাকটর অভিনন্দন দত্ত জানান, কোচবিহার শিলিগুড়ির শেষ গাড়ি রওনা দেওয়ার সময় ডিপোর ভিতরেই বেশ কিছু ছোট গাড়ি পার্কিং অবস্থায় থাকায় গাড়িগুলির জন্য বাস বার করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে তাদেরকে গাড়ি সরাতে বলায় প্রথমে তারা গালিগালাজ শুরু করে, এবং পরবর্তীতে কুড়ি পঁচিশ জন মিলে একসাথে আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন – ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক আমরা আমাদের কর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি, একই সাথে ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হোক এই দাবিও রাখছি।