স্বামী ও তার পরিবারকে পিটিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বামী এবং তার পরিবার পঞ্চায়েতের কাছে সুবিচার চেয়েছিলেন । আর সেই বিচারের নামে অভিযোগকারী স্বামী ও তার পরিবারকে বাড়িতে ডেকে এনে পিটিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ।
বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। শুক্রবার আক্রান্তের পরিবার পুলিশ সুপারের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন । ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিঙ্গাবাদ তিলাসন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম অশোক চৌধুরী (৩২), তার বোন শুকিয়া রায়চৌধুরী (৩৬) এবং মা জিউতিয়া চৌধুরী (৫৫)। বৃদ্ধা মা ও বোন চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
আক্রান্ত অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ললিতা চৌধুরী সাথে বিয়ে হয় ২০০৮ সালে ।
আর ও পড়ুন শেষ দিনে শেষ প্রচার জমে উঠেছে শাসক-বিরোধী
তাদের দুই নাবালক সন্তান রয়েছে । সেই সন্তানদের ফেলে প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রতিবেশী সত্যনারায়ন চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের কথামতো আমাদের সংসার অত্যাচার শুরু করে। জমির ধান বিক্রি করে দিতো বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করে অন্যের বাড়িতে থাকতো সে। এরপরই বাধ্য হয়ে গত এক মাস আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেই দ্বিতীয় বিয়ে করি।
আর তারপর থেকে শুরু হয় আরো বেশি করে অত্যাচার। বুধবার রাতে আমাদেরকে পঞ্চায়েতের বিচার করা হবে বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যনারায়ন চৌধুরীর বাড়িতে। সেখানে আমাদের পরিবারকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা চালানো হয়।
আক্রান্ত সুকিয়া রায় চৌধুরী বলেন, হামলাকারী সত্যনারায়ন চৌধুরী, আছিলাল চৌধুরী,রাজেশ চৌধুরী, রামজি চৌধুরী সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আমরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। সেই অভিযোগ হবিবপুর থানার পুলিশ নেয় নি । তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এই অভিযোগ করার জন্য এখন দাদার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ললিতা চৌধুরী গুণ্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
আমরা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসাধীন রয়েছি। দাদা ঘর ছাড়া রয়েছে। যদিও এই গোলমালের ঘটনায় অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এমনকি হবিবপুর থানার পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন । ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, একটা পারিবারিক গোলমাল এর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।