রাজ্য – বিহার নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একাধিক সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়ে উঠছে—ভোটার তালিকা থেকে ন্যায্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য যাঁদের ঘরে ফিরতে হবে, তাঁদের অনেকেই এখন রাজ্যের বাইরে কর্মরত। এই প্রেক্ষাপটে শুরু হচ্ছে ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলআপ প্রক্রিয়া, যা এবার থেকে অনলাইনেও করা যাবে।
নির্বাচন কমিশনের এই নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম বাদ না যাওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে ফর্ম ফিলআপ করাতে হবে। অনেকেই হয়তো সপরিবারে বাইরে আছেন—প্রয়োজনে পাঁচবার যেতে হবে সেইসব বাড়িতে।”
বিহারে আগের নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম বাদ দেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গে যাতে কোনওভাবেই এমন পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তার জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, স্থানীয় স্তরে তৃণমূল কর্মীদের উদ্যোগী হতে হবে এই ফর্ম ফিলআপ প্রক্রিয়ায়, যাতে কোনও নাম বাদ না যায়।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার বিশেষ ব্যবস্থায় অনলাইন ফর্ম ফিলআপের সুযোগ দেওয়া হয়েছে—বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিক ও রাজ্যের বাইরে থাকা ভোটারদের জন্য। অভিষেকের কথায়, “সব পরিযায়ী শ্রমিকের নাম তালিকায় থাকতে হবে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। কাউকেই বাদ দেওয়া যাবে না। যদি এখন ফর্ম ফিলাপ না হয়, পরে ভোটার তালিকায় নাম তোলা আর সম্ভব হবে না।”
সব মিলিয়ে, ভোটার তালিকা সংশোধনের এই পর্যায়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম অন্তর্ভুক্তি ঘিরে রাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। শাসকদলের লক্ষ্য—কোনও প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না যান, আর সেই দায়িত্ব এখন তৃণমূলের তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।



















