হুগলি – কোন্নগরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীর নির্মম হত্যাকাণ্ডে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সবসময়ই মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই জনপ্রিয় নেতা স্থানীয়দের কাছে ছিলেন ভরসার জায়গা। কিন্তু বুধবার রাতে নিজের অফিস থেকে ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয়রা হতবাক—ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক কারণ, কোন উদ্দেশ্যে এই খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তদন্ত চালাচ্ছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, অফিস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁকে লক্ষ্য করে এক দুষ্কৃতী। বাইকে ওঠার পর প্রথমে তাঁর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন, কিন্তু তখনই তাঁর হাতে কোপ মেরে হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয় হামলাকারী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কানাইপুর এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, বাম আমলে কানাইপুরে খুন ও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও এই হত্যাকাণ্ড ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতার এই নৃশংস খুন ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের অনুমান, খুনিরা বহিরাগত হলেও কেন এমন একজন সমাজসেবী নেতাকে খুন করা হল, তা এখনও অজানা।
