পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার থেকে সিকিম ঘুরতে গেলে সরাসরি হোটেলে নামতে পারবেন

পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার থেকে সিকিম ঘুরতে গেলে সরাসরি হোটেলে নামতে পারবেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার থেকে সিকিম ঘুরতে গেলে তারা সরাসরি হোটেলে নামতে পারবেন। আগে এই সুবিধা ছিলোনা। পাশাপাশি একইভাবে সিকিম থেকে আগত পর্যটকরাও হোটেলে নামতে পারবেন। তবে পর্যটনকেন্দ্রে যেতে চাইলে স্থানীয় গাড়ি ভাড়া নিতে হবে।

 

মঙ্গলবার এবিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলো রাজ্য সরকার ও সিকিম সরকারের মধ্যে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সিকিমের পরিবহন মন্ত্রী সঞ্জিত খারেল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই চুক্তিতে পর্যটনে আরও জোয়ার আসবে।” আবার সিকিমের পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “এটা ঐতিহাসিক দিন দুই রাজ্যের জন্য। এই চুক্তি দুই রাজ্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।”

দুই রাজ্যের গাড়ি চলাচল নিয়ে বরাবর একটা সমস্যা ছিলো। সিকিম কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি তাদের রাজ্যে ঢুকতে দিত না। এতে পর্যটকদের হেনস্থা হয়৷ কারণ তাদের সিকিম সীমান্তে নেমে আবার ওই রাজ্যের গাড়ি নিয়ে হোটেল পৌঁছাতে হত। অবশেষে দুই রাজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলো যে এখন থেকে কোনও রাজ্য গাড়ি পাকড়াও করবে না। পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে হোটেল পর্যন্ত যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন – যারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে স্বীকৃতি দেননা তাদের কাছে কী শিখব, শুভেন্দু

পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন রুটে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শিলিগুড়ি-গ্যাংটক রুটে আগে সরকারি বাস ছিলো ২৫টা তা বাড়িয়ে ৩০টি করা হলো। আবার গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি ৪৫টি বাস চলত তা বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি-নামচি রুটে আগে ৩টে বাস ছিলো তা বাড়িয়ে ৪টা করা হলো। আবার গ্যাংটক থেকেও ৩টে বাস ছিলো তা বাড়িয়ে ৫টা করা হলো। এর বাইরে শিলিগুড়ি- নামচি একটি নতুন রুট চালু হলো। ওই রুটে যথাক্রমে শিলিগুড়ি থেকে যাবে ২টো বাস ও নামচি থেকে আসবে ৩টে বাস।

 

দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কোচবিহারের সিতাই থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত বাস চালু হলো। এই রুটে আমাদের রাজ্য চালাবে ২টো বাস ও সিকিম চালাবে ১টি বাস। এমনকি ট্যাক্সির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে ছিলো ২হাজার ৫০০ এখন করা হলো ৩ হাজার। এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দুই রাজ্য গাড়ি ঢোকার জন্য কোনও কর নেবেনা। আর এই চুক্তিতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।” অন্যদিকে সিকিমের পরিবহন মন্ত্রী সঞ্জিত খারেল বলেন, “বহুদিনের সমস্যা মিটে যাওয়ায় সুবিধা হলো। এই উদ্যোগ নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top