পলতা তুফান সংঘের পুজো মণ্ডপ নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। দূর্গা পূজা মানেই বাঙালির কাছে লাগামছাড়া উচ্ছ্বাস,আবেগ। শহর থেকে মফস্বল মেতে ওঠেন মায়ের আগমনে। পুজোর এই ক’টা দিনের জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষায় বসে থাকেন আবালবৃদ্ধবনিতা। জীবনের সমস্ত দুঃখ,কষ্ট, চিন্তা অসুবিধা কে দূরে সরিয়ে রেখে আপামর বঙ্গবাসী মেতে ওঠেন এই আনন্দ উৎসবে।
দু’বছর ধরে করোনার দাপটে উৎসবে ভাটা পড়ে ছিল। এবছর অবশ্য সেই ভাবে স্বাস্থ্য বিধি নিষেধ নেই বললেই চলে। সে কারণেই শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পঞ্চমীর রাত থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নেমে পড়েছে।কলকাতার সাথে পাল্লা দিয়ে নিত্য নতুন ভাবনায় শহরতলীর পুজো উদ্যোক্তারাও কম যায় না। এবছর পলতা তুফান সংঘ ক্লাবের রাজস্থানের “হাওয়া মহল” আদলে মণ্ডপসজ্জা, সাবেকি প্রতিমা, আলোক সজ্জার অভিনবত্বে দর্শনার্থীদের মননে,হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এই প্যান্ডেল এতটাই নিখুঁত হয়েছে যে বলাই বাহুল্য। সকল দর্শনার্থীই রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধুমাত্র কলকাতায় চোখধাঁধানো পুজো প্যান্ডেল তৈরি হয়’না তা আবার প্রমাণ করে দিল পলতার এই পুজো কমিটি।
আরও পড়ুন – স্কুল ড্রেস পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বিদ্যালয় প্রাক্তনী যৌথ মঞ্চের
উৎসব কমিটির সভাপতি গৌড় চন্দ্র বিশ্বাস ও ক্লাব সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান,দীর্ঘ তিন মাস ধরে ক্লাব ও পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আনুমানিক 14 লক্ষ টাকা ব্যয়ে নদীয়া জেলার সরস্বতী ডেকোরেটার্সের সহযোগিতায় সুসজ্জিত এই পুজো মন্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। মৃন্ময়ী মায়ের চিন্ময়ী রূপ দিয়েছেন শ্যামনগরের মৃৎ শিল্পালয়। তিনি আরো জানান, জন্মসূত্রে পলতার বাসিন্দা প্রবাসী বাঙালি মিহিরলাল বিশ্বাস এর সহযোগিতা ও আর্থিক অনুদান এই পুজোর সফলতা আনতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে বলে তিনি জানান। তাছা