নদীয়া – পাঁচ বছরের শিশু, দুটো কিডনি ৯৫% বিকল। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে ৫৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন চিকিৎসার জন্য। অবশিষ্ট যা ছিল সব চিকিৎসার পেছনে শেষ হয়ে গেছে। এখন সন্তানকে কিভাবে বাঁচাবে সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর পরিবারের। নদীয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাইপাস পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। পেশায় শান্তিপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কর্মরত। তার একটি পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কর্ম করে যেটুকু মাত্র আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চলে তার। গত আড়াই বছর আগে তার সন্তানের শরীর হঠাৎ ফুলতে শুরু করে। খারাপ লক্ষণ বুঝতে পেরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার মা-বাব। সেখান থেকেই শুরু হয় চিকিৎসা। পরবর্তীকালে জানা যায় তার সন্তানের দুটো কিডনি প্রায় ৯৫ শতাংশ বিকল হয়ে গেছে। বিশ্বজিৎ তার সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের নামিদামি হাসপাতালে গিয়েছেন ছেলেকে বাঁচানোর তাগিদে। নিজের সম্পত্তি বলে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে চিকিৎসার পিছনে খরচ করতে। বর্তমানে প্রতিবেশীরা যেটুকু সাহায্য করছে তা দিয়ে কোনরকমে খেয়ে দিন কাটছে তার পরিবারের।
অসুস্থ শিশু বিপ্রজিতের ঠাকুমা ঊষারানী বিশ্বাস চোখের জল নিয়ে বলেন সকলে যদি একটু সাহায্য করে তাহলে আমার নাতিটা বেঁচে যায়। ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে আর সব সময় আমার কথা জিজ্ঞাসা করছে। কথা বলতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তার ঠাকুমা। অন্যদিকে বিপ্রজিতের বাবার বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট তার চোখে স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে। সে যেন ছেলের কষ্ট আর সহ্যই করতে পারছে না। চোখ ছল ছল করতে করতে নিজের ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে বলেন, আমি শুধু আমার সন্তানকে বাঁচাতে চাই। প্রতিবেশীরা বলছেন যেটুকু আমরা সাহায্য করছি তা দিয়েই দু’মুঠো খাওয়া-দাওয়া চলছে এই পরিবারের। সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে সম্পূর্ণ নিঃস্ব এখন পরিবার।
