পাকিস্তানের চর সন্দেহে ধৃতকে নিয়ে তল্লাশিতে এসটিএফ। পাকিস্তানের চর সন্দেহে ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে বৃহস্পতিবার তল্লাশিতে তদন্তকারী এসটিএফ কর্তারা। যদিও এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো উদ্ধারের কথা জানানো হয়নি তবে ধৃত যে পাকিস্তানের চরবৃত্তি করতো তা নিয়ে আর সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের। এযাবৎ সে কত এবং ঠিক কি জাতীয় তথ্য পাচার করেছে শত্রু দেশটিতে তা জানতে মরিয়া তদন্তকারী আধিকারিকরা, তাকে বারবার জেরা করা হলেও সে খুব একটা মুখ খুলছে না বলেই অভিযোগ।
বুধবার আদালতের অনুমোদিত রিমান্ডে নিয়ে গুড্ডু কুমারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির দেবাশিষ কলোনিতে ভাড়া করা বাড়িতে য়ান এসটিএফ কর্তারা।ঘরে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বললেন তারা। গুড্ডুর বিহারে অন্য কোন পরিচয় রয়েছে কি না সেসসস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্স।
পাকিস্তানি চর সন্দেহে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে বিহারের বাসিন্দা গুড্ডু কুমারকে তবে তার জন্মসূত্রে অন্য পরিচয় রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গুড্ডু কুমার নামের এই ব্যক্তি বিগত দু বছর ধরে শহর শিলিগুড়িতে টোটো চালকের বেশে শহরের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে বেড়াতো। এখন সেই গুড্ডু কুমারকে ১৪দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এসটিএফ এর দল। তবে এই পাকিস্তানি চর গুড্ডু শহর শিলিগুড়ির ২৪নম্বর ওয়ার্ডের ভারত নগর একালার দেবাশীষ কলোনীর একটি বাড়িতেই বিগত দুই বছর ধরে বসবাস করতো।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন তেমন কোনো রকম সন্দেহ জনক আচরন গুড্ডু কুমারের মধ্যে দেখা যেত না। সে রোজ সকালে টোটো নিয়ে নিজের কাজে বেরিয়ে পড়তো ও কখনো দুপুরে বা কখনো রাতে সে বাড়িতে এসে নিজের মতই নিজের ঘরে থাকতো, কারোর সাথে তেমন কোনো কথাও বলতো না অভিযুক্ত এই গুপ্তচর।
প্রায় ৭টি পরিবারের মাঝে থেকে সে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে সন্দেহ। তবে এই খবরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এলাকাবাসীদের মনে,শহরে মধ্যে এমন খবরের রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের যাওয়ার পথ। টোটো চালোকের বেশে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তান গুপ্তচরকে কি কি তথ্য পাঠিয়েছে তার তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফএর দল। তদন্তের স্বার্থে তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী দল, আশা এর থেকে মিলতে পারে অনেক অজানা তথ্য।
এবিষয়ে বাড়িতে ভাড়া থাকতো গুড্ডু সেই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, গুড্ডু কুমারকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে তার কাছ থেকে সমস্ত রকম নথিপত্র তিনি জমা নিয়েছিলেন, এছাড়া কোনো রকম সন্দেহ জনক আচরণ তার মধ্যে ছিল না। তবে গল্পের ছলে এই গুড্ডু বাড়ির মালিককে জানাতো তার স্বপ্ন শহর শিলিগুড়ির পুরো আনাচ কানাচ চিনবে সে। তার যে এমন বিপদজনক ভাবনা থাকতে পারে তা কখনো আন্দাজ করতে পারেননি তারা।