পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া প্রচুর গবাদি পশু আটক করল তৃণমূল নেতারা। উত্তর প্রদেশ, বিহার থেকে ফের গরু পাচারের অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়। দুই রাজ্য থেকে আসা মোট ১৪৯টি গরু বোঝাই ২৩টি গাড়ি আটক করল হুড়া থানার পুলিশ। এই গবাদি পশুগুলি কৃষি কাজের জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও এর প্রমাণ দিতে পারেনি গাড়ির চালক ও সঙ্গীরা। চালক সহ মোট ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন। তিনি জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করা হয়েছে।
উদ্ধার করে দেখা গিয়েছে পরিবহনের সময় গাড়িতেই মারা গেছে ৮টি গবাদিপশু। গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত গ্রেফতার ৩৩ জন অভিযুক্তকে আজ পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। ৫ জনকে পুলিশ হেফাজত এবং ২৮ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বিহার ও উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন – দেওয়াল কেটে ব্যাঙ্কে চুরি, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
উল্লেখ্য রবিবার রাত্রে পুরুলিয়ার হুড়া থানা এলাকায় পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়ক দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় মানুষজন ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা রাস্তার উপর গরু বোঝাই বেশ কয়েকটি ভ্যানকে আটক করে রাখে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে হুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িগুলি আটক করে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো, স্থানীয় যুব নেতা চন্দন দত্ত সহ একাধিক অনুগামীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা জানান, ‘আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাড়িগুলো আটক করি।
এই ঘটনাই আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাই এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত আছে তদন্ত হওয়া উচিত। কারা এই গরু পাচারের সাথে যুক্ত তা প্রকাশ্যে আসুক’। উল্লেখ্য, এর আগেও গত ২৩শে আগস্ট এই হুড়া থানা এলাকাতেই গরু বোঝাই দুধের কন্টেনার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে পড়ে। পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে গরুগুলি এনে এই রাস্তা দিয়ে পাচারের কাজ চলছিল। পাচারের উদ্দেশ্য