পাচারের ছক বানচাল করে রোহিঙ্গাদের হাত থেকে ছয়টি খুদে শিশুকে পাঠানো হলো হোমে। রোহিঙ্গা সন্দেহে গ্রেপ্তার সাত পুরুষ ও মহিলাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ জলপাইগুড়ি আদালতের। রোহিঙ্গা সন্দেহ ধৃতদের নাম আব্দুল রাকিম (২১), সম হরিস (২১),নূর ইসলাম(৪৮),মহম্মদ আয়ুব(৩২),মহম্মদ আব্দুল্লাহ (১৮)। ধৃত দুই মহিলা মনুয়ারা বেগম (২৪),সামদা বেগম(৩০)।
ধৃতদের কাছ থেকে মায়ানমারের জাল নাগরিক পরিচয়পত্র মিলেছে। প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি নিউ জলাপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই রোহিঙ্গাদের। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে জম্মু ও দিল্লি থেকে দুটি দল এনজেপি স্টেশনে এসে পৌছায়। শুক্রবার বিকাল নাগাদ স্টেশন চত্বরে সন্দেহজনক গতিবিধিতে জিআরপির নজরে আসে বিষয়টি। তৎক্ষণাৎ আটক করা হয় তাদের। ওই দুটি দলে মোট পাঁচ জন পুরুষ, দুই মহিলা এবং চার ও পাঁচ বছর বয়সী ৬টি শিশু সহ মোট ১৩জন রয়েছে।
তাদের তল্লাশী চালাতেই দেখা যায় তাদের কাছে বৈধ নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র নেই। ভারত ও বাংলাদেশের বেশ কিছু জাল নথি রয়েছে। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে আসাম ও ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। শিশুগুলিকে হাতবদল ও পাচারের উদ্দেশ্য ছিল বলেই রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
আর ও পড়ুন কিছুক্ষণের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড নদীয়ার এই এলাকা
আবার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে থেকে কোনরকম অপরাধ জনিত কারণে শিশুদের ব্যবহারের পরিকল্পনাও থেকে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দার্জিলিং জেলা জিআরপিএফের ডিএসআরপি হেড কোয়ার্টার জানান শিশু সমেত ১৩জনকে রোহিঙ্গা সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। আদালত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শিশুগুলিকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুগুলোকে কোন অপরাধে জনিত কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। পাচারের ছক